এবারও ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি বিএনপির। একাদশ সংসদের আগে ২০১৭ সালে দলটির ব্যয় মিটিয়ে এখন উদ্বৃত্ত রয়েছে প্রায় সোয়া ৫ কোটি টাকা।
Published : 01 Aug 2018, 01:13 AM
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির বার্ষিক আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে টানা ব্যয় বেশি দেখিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে কাউন্সিলের পর (বিভিন্ন অনুদান) থেকে আয় বাড়ে; তাতে ঘাটতি মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।
নিবন্ধিত দলকে প্রতি পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে পরের বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার জানান, তারা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ১৫ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।
ইসির সহকারী সচিব রওশন আরা সাংবাদিকদের জানান, নির্ধারিত সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল প্রতিবেদন দিতে না পেরে সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে।
তবে বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ বাকি দলগুলোর অডিট রিপোর্ট পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য কমিশনের শিগগির উপস্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার সময় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভূইয়া ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
পরে খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে।
“এই বছরে বিএনপির মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা হয়েছে। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।”
২০১৬ সালের দলটির আয় বেশি ছিল। সেবছর আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা।
এর আগে তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের থেকে ব্যয় বেশি ছিল।
২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল।
২০১৪ সালে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বছরে ২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিলো। সে সময় ঘাটতি ছিলো প্রায় দেড় কোটি টাকা।