নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব আব্দুল হালিম খান জানান, নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে ৩৩টি দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দিয়েছে।
ছয়টি রাজনৈতিক দল হিসাব দিতে আরও সময় চেয়েছে। আর দুটি দল নতুন নিবন্ধিত হওয়ায় তাদের অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হবে আগামী বছর থেকে।
“আমরা যেসব দলের অডিট রিপোর্ট পেয়েছি সেগুলো যাচাই-বাছাই করব। নির্ধারিত ছকে তথ্য দিয়েছে কিনা, অডিট ফার্মের স্বাক্ষর, সিলমোহর বা দলের সম্পাদকের স্বাক্ষর আছে কিনা তা দেখব। তারপর কমিশনের বিবেচনার জন্যে উপস্থাপন করব।
“তাতে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করতে বলা হবে। আর সময় চেয়ে ছয়টি দলের করা আবেদনের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে প্রতি পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে পরের বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হয়।
পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইসিতে যে হিসাব দিয়েছে, সেখানে ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা আয় এবং ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে।
সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা; আর ব্যয় ১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
বিএনপি তাদের হিসাব বিবরণীতে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা আয় এবং ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য দিয়েছে।