এই ম্যাচ তার খেলারই কথা ছিল না। খেলতে পারলেন সতীর্থ পেসার চোট পেয়েছিলেন বলেই। হঠাৎ পাওয়া সেই সুযোগেই নায়ক হয়ে গেলেন জেইক বল। দলকে এনে দিলেন নাটকীয় এক জয়। এমন এক কীর্তি গড়লেন, যেটি করতে পারেননি তার দেশের ইতিহাসে আর কেউ!
Published : 07 Oct 2016, 11:25 PM
কাছে গিয়েও পারলেন না ইমরুল-সাকিবরা
‘ব্যাটসম্যানরা খুব প্যানিকড ছিল’
‘ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল’
বল হাতে বলের ‘অবিশ্বাস্য’ অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন বল। ওয়ানডের জন্মদাতা দেশ, ৬৭৫ টি ওয়ানডে খেলা দেশের হয়ে অভিষেকে ৫ উইকেট পেলেন কেউ এই প্রথমবার!
১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডাম হোলিওকের ২৩ রানে ৪ উইকেট ছিল আগের সেরা। অভিষেকে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন আরও ৫ জন।
অথচ এই ম্যাচে বলের থাকার কথা ছিল ডাগ আউটে। সেরা একাদশের জন্য প্রথম পছন্দের তিন পেসারের মধ্যে ছিলেন না তিনি। এমনকি গত মঙ্গলবার ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচেও বোলিং করানো হয়নি তাকে। এই ম্যাচটা খেলতে পারলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট চোট পেয়েছিলেন বলেই। ইংল্যান্ডের জন্য সেটিই হলো শাপেবর।
প্রথম স্পেলে উইকেট ছিল ওই দুটিই। দ্বিতীয় স্পেলে যখন ফিরলেন, ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে তখন জয় দেখছে বাংলাদেশ। এবারও প্রথম ওভারেই উইকেট প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন অধিনায়ক জস বাটলার।
তাতে দমে যাননি বল। সাকিবকে ফিরিয়ে তিনিই সূচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের শেষের ধ্বংসযজ্ঞের। পরের বলেই ফিরিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেনকে। শুরু হয় ধসের।
শেষটাও হলো তার হাত ধরেই। প্রথম চারটি উইকেটই ছিল শর্ট বলে। শেষটি কাটারে। তাসকিন আহমেদকে ফিরিয়ে গুটিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। নাম লেখালেন রেকর্ডের পাতায়। ৫১ রানে ৫ উইকেট।
অসাধারণ জয়, অনন্য পারফরম্যান্স। বাইরে থেকে হুট করেই একাদশে ঢুকেছিলেন বল, এখন তাকে বাইরে ঠেলে দেওয়াই হবে কঠিন!