বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক অভিষিক্ত পেসার বল। এই ম্যাচে তার খেলারই কথা ছিল না। কিন্তু ম্যাচের আগে বা পায়ের বুড়ো আঙুলের চোটে ছিটকে গেলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। সুযোগ পেয়ে বল নাম লেখালেন ইতিহাসে। ৫১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই প্রথম অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেলেন ইংল্যান্ডের কেউ।
তবে নতুন বোলারের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দশা এটিই প্রথম নয়। ওয়ানডে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বোলার। তাদের প্রথম জন, শ্রীলঙ্কার শাউল কারনাইনের যখন অভিষেক, বাংলাদেশ তখনও পা রাখেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
আরও দুজন আছেন বাংলাদেশেরই, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাকি ১০ জনের ৪ জনই অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।
২০১১ সালে এসে আবারও একই রকম অভিজ্ঞতা। ব্রায়ান ভিটরি নিলেন ৩০ রানে ৫ উইকেট। ৮ ওভারের প্রথম স্পেলেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরে ফিরে আরেকটি। বাংলাদেশ হেরেছিল সেই ম্যাচ।
গত বছর এই শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামেই গতি ও আগ্রাসনে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিলেন রাবাদা। অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করলেন, গড়লেন অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ১৬ রানে ৬ উইকেট! যথারীতি হেরেছিল বাংলাদেশ।
এবার অভিষেকে বাংলাদেশকে ভোগালেন বল। ৫ উইকেট ছাড়াও অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ট্রেমলেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিনো বেস্ট।
এমনকি পাকিস্তানের ওয়াজাহাতুল্লাহ ওয়াস্তি, যিনি ছিলেন মূলত ব্যাটসম্যান, অভিষেকে তিনিও ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন ৩ উইকেট!
ওয়াস্তির তিন উইকেট নেওয়ার মতো সেই সব দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আর অবশ্যই নেই। তবে এখনও অভিষিক্তদের প্রিয় প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ!