‘ব্যাটসম্যানরা খুব প্যানিকড ছিল’

৫২ বলে ৩৯ রান, ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সহজ লক্ষ্য। সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর অস্বস্তি ঘিরে ধরে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে। পরের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের বিদায়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, ‘প্যানিকড’ ছিলেন ব্যাটসম্যানরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2016, 06:13 PM
Updated : 7 Oct 2016, 06:56 PM

৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষের তালগোলে ২১ রানে হারে বাংলাদেশ। শেষ ৬ উইকেটের পতন হয় ১৭ রানে।

অধিনায়ক মাশরাফি জানান, শেষের সময়টায় ব্যাটসম্যানরা স্বাভাবিক ছিলেন না। 

“আউটগুলো দেখলেই বোঝা যাবে, ব্যাটসম্যানরা কতটা প্যানিকড ছিলো। সবাই খুব প্যানিকড ছিল। হয়তোবা আরও নরম্যাল থাকতে পারতাম। ওখানে ১০-১২ বল ডটও হলে খুব একটা সমস্যা ছিলো না। রান করার তাড়াতেই আমরা আউট হয়েছি।”

শুক্রবারের প্রথম ওয়ানডের আগে শেষের ব্যাটিং নিয়ে দুর্ভাবনা থাকার কথা জানিয়েছিলেন মাশরাফি। শেষের সেই বাজে ব্যাটিংয়ে জেতা ম্যাচ হারতে হলো তার দলের।

ম্যাচের শেষ ১০ ওভারের ব্যাটিংটা যেন বুঝে উঠতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তান সিরিজে পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরিস্থিতি গেল আরও অবনতির দিকে। এর ব্যাখ্যা নেই অধিনায়কের কাছেও। 

“এটা ব্যাখ্যা করা আসলে কঠিন। আস্কিং রেট ৪-৫ হলে বিগ শটের প্রয়োজন হয় না। যখন আস্কিং রেট ৮ এর বেশি থাকে তখন হয়তো বিগ শট খেলতে হয়। আজকে তো তার দরকার ছিলো না। ওদের একটা পর্যায়ে ফিল্ডিং ক্লোজ করে রাখতে হয়েছিল। কারণ সিঙ্গেল আটকানোর প্রয়োজন ছিলো ওদের। ওই মুহূর্তে আমরা অনেক বাজে শট খেলে আউট হয়েছি।”

সাকিব-মোসাদ্দেক ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আশা হয়ে টিকে ছিলেন ইমরুল কায়েস। মাশরাফি জানান, সেই সময়ে তাদের পরিকল্পনা ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া। তবে স্বয়ং অধিনায়কও তা করতে পারেননি।

“আমরা একটা কথা বলছিলাম, আমাদের শেষ পর্যন্ত ইমরুলের সঙ্গে উইকেটে থাকতে হবে। আমি যখন যাই তখনো ইমরুলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, ওকে কমপক্ষে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হবে। আসলে সেটা হয়নি।”