মিশরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চেয়েছিলেন।
Published : 23 Nov 2023, 09:38 AM
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে অস্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মি মুক্তি শুক্রবারের (২৪ নভেম্বর) আগে হচ্ছে না, জানিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
যারা ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং এদিন অন্তত কিছু জিম্মি মুক্তি পাবে, এ ঘোষণায় তাদের আশা ব্যাহত হয়েছে।
বুধবার ভোররাতে ইসরায়েল ও হামাস গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দিতে, হামাসের হাতে বন্দি অন্তত ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারগার থেকে অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দিতে চার দিনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
তবে যুদ্ধবিরতি এবং ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া কখন থেকে শুরু হবে তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। মিশরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি বলেছেন, “আমাদের জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে এবং অব্যাহত আছে। পক্ষগুলোর মধ্যে হওয়া মূল চুক্তি অনুসারেই (জিম্মি) মুক্তি শুরু হবে আর তা শুক্রবারের আগে হচ্ছে না।”
ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ক্যান অজ্ঞাত এক ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু করতে ২৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে কারণ চুক্তিটিতে হামাস ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা স্বাক্ষর করেননি।
এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্বাক্ষর করা হলেই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে তারা আশাবাদী।
ক্যানের দেওয়া উদ্ধৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “গণমাধ্যম ছাড়া আর কেউ বলেনি আগামীকাল (জিম্মিদের) মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এটি পরিষ্কার করতে চাই যে জিম্মিদের পরিবারগুলো যে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছে সেই কারণে শুক্রবারের আগে মুক্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি।”
৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণ দেশটির সরকারকে হতবাক করে দেয় এবং সাধারণ ইসরায়েলিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। ওই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় এনে জিম্মি করে রাখে হামাস। তারপর থেকে পাঁচজন মুক্তি পেয়েছেন।
এর প্রতিশোধ নিতে প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় ১৪ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।
আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকালে: হামাস
৫০ জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল