চন্দ্রযান-৩ এ করে চাঁদের বুকে ভারতের সফল অভিযানে খরচ হয়েছে ৬১০ কোটি রুপি।
Published : 23 Aug 2023, 09:44 PM
ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণের পর নতুন করে পুরাতন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তা হলো, কীভাবে দেশটি এত কম খরচে তাদের মহাকাশ অভিযান পরিচালনা করছে?
বিবিসি জানায়, চন্দ্রযান-৩ এ করে ভারতের এবারের চন্দ্রাভিযানে খরচ হয়েছে ৬১০ কোটি রুপি। যা প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। যেখানে প্রায় একই সময়ে চাঁদের একই গন্তব্যে রওয়ানা হওয়া রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ এ খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার।
চাঁদের খুব কাছে পৌঁছে গেলেও শেষপর্যন্ত চন্দ্রযান লুনা-২৫ চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং মহাকাশেই ধ্বংস হয়ে যায়।
গত রোববার রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস থেকে তাদের এবারের চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ হওয়ার খবর দেওয়া হয়।
লুনা-২৫ থেকে অর্ধেকেরও কম খরচে কীভাবে ভারত চন্দ্রযান-৩ এ চেপে চাঁদের বুকে পৌঁছে গেলো তা নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা হচ্ছে।
প্রথম দেশ হিসেবে ভারতীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের রহস্যঘেরা অপেক্ষাকৃত অন্ধকার অংশ দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনের পর চাঁদের পৌঁছে যাওয়া চতুর্থ দেশ ভারত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত এর আগে নিজেদের চন্দ্র ও মঙ্গল অভিযানও বেশ কম খরচের মধ্যেই করেছে।
এজন্য তারা ‘পণ্যের অপচয়’ রোধে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
এর আগে ভারত কীভাবে তাদের মঙ্গল অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গল অভিযানের চেয়ে কম খরচে করতে সক্ষম হয়েছে তার ব্যাখ্যায় যুক্তরাজ্যের মহাকাশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কোটস বিবিসিকে বলেন, ভারত তাদের মঙ্গলযান মহাকাশ যানের ওজন ১৫ কেজির মধ্যে রাখার বাধ্যবাধকতা জুড়ে দিয়েছিল।
“যা তাদের সফল ওই অভিযানটির খরচের আকার ছোট করেছে।”
মহাকাশযান উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়াতেও ভারত কম অর্থ ব্যয় করে। খরচ আরো কমাতে দক্ষিণের তামিলনাড়ু রাজ্যে তারা নতুন একটি স্পেসপোর্ট নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে বলে বিবিসিকে জানান ইসরোর একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ।
বলেন, ওই পোর্টটির অবস্থান মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য একদম সঠিক জায়গায় হওয়ায় পরিবহন খরচ কমবে।