ভারতই প্রথম চাঁদের রহস্যঘেরা অপেক্ষাকৃত অন্ধকার অংশ দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে পেরেছে।
Published : 23 Aug 2023, 08:00 PM
চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সরাসরি ভিডিও লিংকে যুক্ত হয়ে দেশবাসীর সঙ্গে দারুণ গর্বের এই মুহূর্তটির সাক্ষী হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের বুকে অবতরণ করে। প্রথম কোনো দেশ হিসেবে তারাই চাঁদের রহস্যঘেরা অপেক্ষকৃত অন্ধকার দিক দক্ষিণ মেরুর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হলো।
ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের মূল লক্ষ্য দক্ষিণ মেরুতে বরফ বা পানির সন্ধান করা।
ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের বুকে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই জোহানেসবার্গ থেকে মোদী হিন্দিতে বলে ওঠেন, “ভারত এখন চাঁদের বুকে।”
ইসরো কন্ট্রোল রুম এবং এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ দেন।
এরপর মোদী ইংরেজিতে বলেন, “ভারতের সফল চন্দ্রাভিযানের আনন্দ শুধু ভারতের একার নয়।
“বরং একটি পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত সারা বিশ্বে অনুরণিত হচ্ছে। আমরা সবাই চাঁদে এবং চাঁদকে ছাড়িয়ে আরো উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা করতে পারি।
“সম্ভাবনার কোনো সীমা নেই।”
ইসরোর কন্ট্রোল রুমকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, “এই মুহূর্তটির জন্য দেশ আমাদের আজীবন মনে রাখবে। এই সাফল্য ভারতকে আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।”
২০১৯ সালে নিজেদের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানে চাঁদের বুকে নামার চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু সেবার দেশটিকে ব্যর্থ হতে হয়েছিল। চাঁদের মাটি স্পর্শ করার আগেই তাদের ল্যান্ডারটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সফল হয়েছে ভারত।
এই শিক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদী আরো বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে আমরা নিজেদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হতে পারি।”
বক্তৃতা দেওয়ার সময় মজার ছলে মোদী বলেন, ‘‘আমরা ভারতে পৃথিবীকে মা বলি আর চাঁদকে বলি মামা। ভারতের শিশুদের মায়েরা এত দিন বলে এসেছেন, ‘চন্দামামা দূর কি হ্যায়’ (ওই দূরে চাঁদমামা)। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই ভারতের আগামী প্রজন্মের শিশুরা বলবে ‘চন্দামামা ট্যুর কি হ্যায়’ (চাঁদমামা বেড়ানোর জায়গা)।’’
উচ্ছ্বসিত কন্ট্রোল রুম থেকে করতালির ধ্বনিতে মোদী তার তার বক্তব্য শেষ করেন।