Published : 24 Apr 2024, 04:23 PM
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি করতে গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড। কিন্তু যেহেতু ভূখণ্ডটি দুর্ভিক্ষে পতিত হওয়ার ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে, তাই দুর্ভিক্ষ আটকাতে সেখানে দ্রুত আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে তা কমিয়ে আনতে ইসরায়েলের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বলেন, যদি ইসরায়েল গাজায় মানবিক সংকট কমিয়ে আনতে ‘বিশেষ, দৃঢ় এবং উল্লেখকরার মত’ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে মিত্র হিসেবে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র বিনা শর্তে যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সেটা আর থাকবে না।
মঙ্গলবার গাজা বিষয়ে কথা বলার সময় সাংবাদিকরা স্যাটারফিল্ডের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের গ্রহণ করা উদ্যোগে সন্তুষ্ট কিনা।
তিনি অবশ্য এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। বলেন, “গত আড়াই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সেখানে এখনও উল্লেখ করার মত কাজ করা বাকি আছে। সে প্রক্রিয়া চলছে।”
পুরো গাজাই দুর্ভিক্ষের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চল। তিনি এজন্য আরও বেশি কিছু করার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রায় সাড়ে ছয় মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘ গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ করছে, গাজায় ত্রাণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি মঙ্গলবার বলেন, এপ্রিলে গড়ে প্রতিদিন ২০০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতো। সোমবার ৩১৬টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, “আমরা সবসময়ই জোর দিয়ে বলে এসেছি, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মানুষের সৃষ্টি এবং কেবলমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব; গত কয়েক দিনে আমরা সেটা দেখতেও পেয়েছি, এটা সম্ভব।
“যত আমরা এই পরিস্থিতি ধরে রাখবো, তত আমরা ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাব।”
সামনেই গরম পড়তে শুরু করবে। ওই সময়ে রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার দিকেও মনযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। বিশেষ করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে।