গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৪৮ বছর পরও কম্বোডিয়া বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বেশি মাইন আচ্ছাদিত দেশ হিসেবে রয়ে গেছে।
Published : 14 Aug 2023, 02:45 PM
কম্বোডিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি হাইস্কুলে প্রাঙ্গণে তাজা বিস্ফোরকের ভাণ্ডার মেলার পর স্কুলটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
নৃশংস গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৪৮ বছর পরও কম্বোডিয়া বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বেশি মাইন আচ্ছাদিত দেশ হিসেবে রয়ে গেছে। গৃহযুদ্ধকালে ক্রাতিয়ে প্রদেশের এই রানি কসোমাক হাইস্কুলকে একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
ছবিতে দেখা গেছে, বহু সংখ্যক মরিচা ধরা বিস্ফোরক সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গ্রেনেড ও অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক লঞ্চারও আছে।
কম্বোডিয়ান মাইন অ্যাকশন সেন্টারের পরিচালক হেং রতনা জানিয়েছেন, তিন দিনে দুই হাজারেরও বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, একটি বাগান সম্প্রসারণের জন্য স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার সময় গোলাবারুদগুলো পাওয়া যায়।
পুরো স্কুল পরিষ্কার করা হলে মাটির নিচে থেকে আরও অস্ত্র বের হয়ে আসবে বলে ধারণা তার, জানিয়েছে বিবিসি।
“স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভাগ্য অনেক ভালো। কেউ মাটি খোঁড়ার সময় আঘাত করলে এগুলো সহজেই বিস্ফোরিত হত,” বলেছেন হেং।
স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে সব বিস্ফোরক উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এ কাজে আরও দুই দিন লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আট বছর ধরে চলা কম্বোডিয়ার গৃহযুদ্ধ ১৯৭৫ সালে শেষ হয়। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হলেও এর কারণে দেশটির মানুষকে এখনও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হ্যালো ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৯ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্থলমাইনে এ পর্যন্ত ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অঙ্গ হারিয়েছেন ২৫ হাজার মানুষ।
কম্বোডিয়ার সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ পরিষ্কার করার অঙ্গীকার করেছে।