শুক্রবার রাতের ওই ভূমিকম্প ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
Published : 06 Feb 2024, 11:11 AM
মরক্কোয় প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের নিকটবর্তী শহরগুলোর অনেক বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়িকে আর নিরাপদ ভাবতে পারছেন না, রাত কাটাচ্ছেন বাইরে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে তাদের ঘরবাড়ি হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অথবা পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার বা কয়েক দিনের মধ্যে একটি পরাঘাত তাদের দুর্বল হয়ে যাওয়া বাড়িকে ধসিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শুক্রবার রাতের ওই ভূমিকম্প ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯০০ সালের পর এত শক্তিশালী আর কোনো ভূমিকম্প দেশটিতে হয়নি। ফলে অনেকেই ভয়ঙ্কর মানসিক ধাক্কা খেয়েছেন।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারাকেশে অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে। নগরীর বহু পরিবার রোববার রাতও বাইরে কাটিয়েছেন। শহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আয়াত এলহাজ (৫১) শুক্রবার ভূমিকম্পের পর থেকে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকছেন। নগরীর ঐতিহাসিক মেদিনা এলাকার কাছে তার বাড়ির দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
তিনি বলেন, “আমি ওখানে ঘুমাতে পারি না। আমার বাড়িতে ফেরা সম্ভব কিনা তা যাচাই করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ পাঠাতে বলছি কর্তৃপক্ষকে । যদি কোনো ঝুঁকি থাকে তাহলে আমি আর ওই বাড়িতে ফিরে যাব না।”
ভূমিকম্পের পর মরক্কোর অনেক অংশেই লোকজন শুক্রবার রাতটি বাইরে কাটান। এরপর অনেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেও ফেরেননি বহু মানুষ। শনিবার রাতে মারকেশের প্রধান চত্বরে রাত কাটিয়েছেন অনেকে। তাদের একজন নূরদ্দীন লাহবাবি (৬৮), তিনি তার চার সন্তান নিয়ে এখানে থাকছেন, খাওয়াদাওয়া করছেন রেস্তোরাঁয়।
তিনি বলেন, “এটি খুব বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। যখন আপনার ভাই বা বোনের ক্ষেত্রেও এরকম ঘটে, এটা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা।”
তার বাবার পাশ থেকে ১১ বছরের বালিকা জওয়া জানান, অপরিচিত মানুষজনের আশপাশে ঘুমাতে তার অস্বস্তি লাগে।
সংবাদ সূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)