মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বহুবার আঘাত হানলেও তাদের হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
Published : 20 Feb 2024, 02:39 PM
ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা এডেন উপসাগরে ব্রিটেনে নিবন্ধিত একটি মালবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে আর সেটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার শিকার গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লোহিত সাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত ও ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর জাহাজে নভেম্বর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুতিরা।
ইরান সমর্থিত হুতিদের বারবার হামলায় ইয়েমেন উপকূলের লোহিত সাগর ও বাব আল-মানদাব জলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর জবাবে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বহুবার আঘাত হানলেও হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সোমবার হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, মালবাহী জাহাজ এমভি রুবিমারের ক্রুরা নিরাপদ আছেন, কিন্তু জাহাজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বেলিজের পতাকাবাহী, যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত ও লেবাননের কোম্পানির পরিচালনাধীন জাহাজটিতে রোববার হামলা চালানো হয়।
সারেয়া জানিয়েছেন, হুতিরা ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে মার্কিন একটি ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে রুবিমার লক্ষ্য করে দু’টি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে সেন্টকম বলেছে, “একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজটিতে আঘাত হেনে ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। জাহাজটি থেকে বিপদ সঙ্কেত পাঠানো হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়ে জোট বাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ও অন্য বাণিজ্যিক জাহাজ ক্রুদের সাহায্য করতে রুবিমারের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।”
রুবিমারের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তার কোম্পানি এলএসএস-এসএপিইউ এর আগে জানিয়েছিল, জাহাজটিতে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ক্রুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফোনে রয়টার্সকে কোম্পানিটি বলেছে, “আমরা জানি জাহাজটিতে পানি ঢুকছে। এখন জাহাজটিতে আর কেউ নেই। জাহাজটিকে টাগবোট দিয়ে টেনে নেওয়া যায় কিনা মালিকরা ও ব্যবস্থাপকরা তা বিবেচনা করে দেখছে।”
ইয়েমনের উপকূল সংলগ্ন জলপথ দিয়ে বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করে। হুতিদের একের পর এক হামলায় জলপথটিতে জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হলেও এ পর্যন্ত কেউ নিহত বা কোনো জাহাজ ডুবেনি।
পশ্চিম শক্তিগুলোর পাল্টা হামলা সত্ত্বেও হুতিরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তাদের হামলা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন দিতে জাতিসংঘকে চাপ যুক্তরাষ্ট্রের