নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে গণপরিবহনে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা উঠল

২০২০ সালে নিউ ইয়র্ক শহরজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ এপ্রিলে এ বাধ্যবাধকতা জারি করেছিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2022, 05:43 AM
Updated : 8 Sept 2022, 05:43 AM

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গণপরিবহনে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ২৮ মাস পর তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দর ও রাইডশেয়ার গাড়িগুলোতে আর মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হবে না বলে জানিয়েছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর ক্যাথি হোকল।

২০২০ সালে নিউ ইয়র্ক শহরজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ এপ্রিলে এ বাধ্যবাধকতা জারি করেছিল।

কিন্তু এখন মাস্ক পরা ঐচ্ছিক বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন গভর্নর হোকল; খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, “আমাদের জীবনে কিছু স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা দরকার। মাস্ক পরায় উৎসাহিত করা হচ্ছে কিন্তু এটি ঐচ্ছিক।”

তিনি জানান, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমে আসায় নিউ ইয়র্ক এখন অনেক স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। গৃহহীনদের আশ্রয়কেন্দ্র ও কারগারগুলোতেও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে অঙ্গরাজ্যটির অনুমোদনপ্রাপ্ত নার্সিং হোম, হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা এখনও বজায় আছে।

ফ্লোরিডার এক ফেডারেল বিচারক দেশজুড়ে বা্ধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার নির্দেশকে বেআইনি বলে রায় দেওয়ার পর এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণপরিবহনে এ নির্দেশনা কার্যকর করা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নিউ ইয়র্ক রাজ্য এ নির্দেশনা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মহামারীর শুরুতে ব্যাপক সমর্থন সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পর থেকে নিউ ইয়র্কের বহু বাসিন্দা অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করতে শুরু করে।

এক সময় নিউ ইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারীর কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে ৭১ হাজার ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন অঙ্গরাজ্যটির জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ পুরোপুরি টিকার আওতায় এসেছে।