ইউক্রেইনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন

কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এর জন্য উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2023, 10:59 AM
Updated : 22 May 2023, 10:59 AM

ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার অধিকৃত জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এ কারণে কেন্দ্রটি পারমাণবিক জ্বালানি শীতল করার জন্য ও বিপর্যয় এড়ানোর জন্য জরুরি জেনারেটরগুলোর ওপর নির্ভর করছে।  

সোমবার কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এর জন্য উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।

রুশপন্থি স্থানীয় এক ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেইন কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

অপরদিকে ইউক্রেইনের রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারহোঅ্যাতম বলেছে, রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা। তারা বলেছে, “প্রকল্পটির পারমাণবিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।”  

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি টুইটারে লিখেছেন, “এই পরিস্থিতি চলতে পারে না, আমাদের অবশ্যই এখনই কেন্দ্রটি রক্ষার বিষয়ে সম্মত হতে হবে।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ছয়টি চুল্লি এখন বন্ধ থাকলেও এর ভেতরে থাকা পারমাণবিক জ্বালানিকে শীতল রাখতে ও সম্ভাব্য গলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এতে এখনও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্রয়োজন।

এনারহোঅ্যাতম জানিয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে থাকা ডিজেল জেনারেটরগুলোতে প্রায় ১০ দিন চলার মতো যথেষ্ট জ্বালানি আছে।

অনলাইনে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “গণনা শুরু হয়ে গেছে।”

নিপ্রো নদীর তীরবর্তী জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অবস্থান ইউক্রেইনের রাশিয়া অধিকৃত দক্ষিণাঞ্চলে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্টেশন আর এই এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ চলছে।

এনারহোঅ্যাতম জানিয়েছে, ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে সপ্তমবার কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হল।

এর আগের সবগুলো ঘটনাতেই কেন্দ্রটির জরুরি জেনারেটরগুলো চালু থাকা অবস্থায় বাইরে থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু হয়।

রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর আগে এই কেন্দ্রটি ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ চাহিদার এক পঞ্চমাংশের যোগান দিতো।

আরও পড়ুন:

Also Read: বাখমুতের জন্য যুদ্ধ শেষ হয়েছে: পুতিন