থাইল্যান্ডে ভোটে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে আবারও কঠিন বার্তা

রাজতন্ত্র ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরোধিতা করে দেশটিতে শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার পথটি বেশ বন্ধুর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2023, 07:35 PM
Updated : 16 May 2023, 07:35 PM

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে জনগণ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে; স্পষ্ট করে বলেছে, সেনা সমর্থিত সরকারের শাসনে তারা আর থাকতে চায় না।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনের শুরুটা হয়েছে এই বাক্য দিয়ে।

ভোটে দেখা গেছে, জনসমর্থন তারুণ্যের দিকে। দলের নাম মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি, যে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাত। পার্লামেন্টের সবচেয়ে বেশি আসনে জিতে সরকার গঠনের প্রধান দাবিদার দলটি।

প্রধান বিরোধী দল পুয়ে থাই পার্টির পক্ষেও যথেষ্ট সমর্থন মিলেছে ভোটের ফলাফলে। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, সামরিক শাসনে ত্যাক্তবিরক্ত জনগণ এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা নেতৃত্বাধীন এই দলকেই বেছে নেবে। তবে নির্বাচনে তারা হয়েছে দ্বিতীয়। পরিবর্তনের জন্য ক্ষুধার্ত তরুণদের ভোট এগিয়ে দিয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে।

নির্বাচনের এই ফলকে রক্ষণশীল, সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের জন্য চপেটাঘাত হিসেবে দেখছে সিএনএন, যারা যুগের পর যুগ ধরে ‘মুক্তভূমি’র নাগরিকদের বদ্ধ করে রেখেছে। অনেক সময় ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে।

“এটা (ভোটের ফল) একটা নির্ভুল এক গর্জন, থাইল্যান্ডের সামরিক কর্তৃত্ববাদী অতীতকে প্রত্যাখ্যান করার বার্তা। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি জবাব,” সিএনএনকে বলেছেন থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থিতিনান পংসুধিরাক।

Also Read: থাইল্যান্ডের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা লিমজারোয়েনরাত, কে তিনি?

গত দুই দশকে যখনই থাইল্যান্ডের মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই সেনা শাসনের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দলের পক্ষেই রায় দিয়েছে। গত রোববারের ভোটের ফলও তাই হয়েছে, যেখানে ভোটের হার ছিল আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

রাজতন্ত্র ও সামরিক বাহিনীর বিরোধী দুই দলের পক্ষে বিপুল ভোট সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যে বড় অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তারপরও থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরোধিতা করে সেদেশে শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার পথটি কতটা বন্ধুর, তা উঠে এসেছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী সংবিধান সংশোধন করে তাদের ক্ষমতা যতটা পাকাপোক্ত করেছে, তাতে থাইল্যান্ডের শাসন ক্ষমতায় ‘সামরিক এলিট’দের সমর্থন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর সবচেয়ে বড় কারণ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ। ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখলের পর নতুন করে সংবিধান সংশোধন করে তারা। এই সংশোধনীর মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হয় যে ভোটের ফলে যারাই জিতুক না কেন, দেশ কে চালাবে তা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সমর্থন অত্যাবশ্যক।

রোববারের নির্বাচনে দুই প্রধান বিরোধী দলের কোনটিই পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজনীয় ৩৭৬ আসন পায়নি। ফলে এককভাবে সরকার গঠন করার সম্ভাবনা কারোই নেই। তাই নির্বাচনে জয়ী মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা পুয়ে থাই পার্টিকে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মিলে একটি জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

কিন্তু কাজটি হয়ত খুব সহজ হবে না, এমনটাই লিখেছে সিএনএন। কারণ থাইল্যান্ডে সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটকে পার্লামেন্টের ক্ষমতাশালী সেনেটের সমর্থন পেতে হবে।

সামরিক জান্তার আমলে সংস্কার করা সংবিধান অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের ২৫০ আসনের অনির্বাচিত সেনেটের সব সদস্যই সামরিক বাহিনী থেকে বেছে নেওয়া। আর এই সেনেট এর আগে সবসময়ই সামরিক বাহিনীর পছন্দের প্রার্থীকেই সমর্থন দিয়ে এসেছে।

সেনেট ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৫০ আসনের থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে নিম্নকক্ষের তিন-চতুর্থাংশ ভোট নিশ্চিত করতে হবে বিরোধীদের।

২০১৯ সালের নির্বাচনের পর প্রায়ুথ চান-ও-চা সেনেটের ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার দলের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করে; যদিও সেবারের ভোটে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল পুয়ে থাই পার্টি। জেনারেল প্রায়ুথ ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সেনাপ্রধানের পদে ছিলেন।

থাইল্যান্ডে প্রগতিশীল রাজনীতির এই বিজয়কে অর্থপূর্ণ করে তোলার পথে আরও বাধা আছে। এরআগে যেসব রাজনৈতিক দল দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কারের চেষ্টায় নেমেছিল, তাদের হারতে হয়েছিল সামরিক বাহিনী, রাজতন্ত্র ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত শক্তিশালী রক্ষণশীল ব্যবস্থার বিরোধিতার কাছে।

এমনও দেখা গেছে, এই রক্ষণশীল চক্রের বিরোধিতাকারী আইনপ্রণেতারা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে, তাদের দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে কিংবা সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

১৯৩২ সাল থেকে ডজন খানেকের বেশি সফল সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশটি গত ১৭ বছরেই দুটো সামরিক অভ্যুত্থান দেখেছে।

তাছাড়া আপাতদৃষ্টিতে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সাংবিধানিক আদালত আদতে শক্তিশালী ওই রক্ষণশীল গোষ্ঠীর পক্ষেই কাজ করে এসেছে।

সিএনএন লিখেছে, এর বিপরীতে প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের পক্ষে রয়েছে বিপুল জনসমর্থন। বিশেষ করে এবারের নির্বাচনে জনগণ সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলোর বিরুদ্ধে ঢালাও ভোট দিয়েছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থিতিনান বলেন, “ভোটের ফলাফলে যদি অসঙ্গতি দেখা দিত, বা সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলো যদি বেশি ভোট পেত, তাহলে আমরা হয়ত নির্বাচনী কারসাজির একটা চিত্র দেখতে পেতাম, ভোটের ফল কাছাকাছি হলে এমন একটা ঘটনা ঘটতেও পারত। কিন্তু ভোটের ব্যবধান এতটাই স্পষ্ট যে এটাকে পাল্টে দেওয়া খুবই কঠিন। এবং যদি ওই ধরনের চেষ্টা করা হত, তাহলে হয়ত জনগণ ক্ষেপে যেত।”

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির পূর্বসূরী ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টি ২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। কিন্তু নির্বাচনের কয়েক দিন পরেই ওই দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী তহবিল ব্যবস্থাপনা বিধি ভাঙার অজুহাতে আদালতের একটি আদেশের মাধ্যমে দলটিকে বিলুপ্ত করা হয়। স্বল্প সময়ের জন্য এই পদক্ষেপ ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টির হুমকি থেকে ক্ষমতাসীনদের সুরক্ষা দিলেও অনেক অর্থেই, রোববারের ঐতিহাসিক নির্বাচনী ফলের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল আদালতের ওই আদেশ।

ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার ঘটনায় ২০২০ সালে থাইল্যান্ডজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই প্রেক্ষাপটে সেদেশে তরুণ প্রজন্ম থেকে এক ঝাঁক রাজনৈতিক নেতা তৈরি হয়, যাদের একটি অংশ এরআগে সেদেশে ‘ট্যাবু’ হিসেবে গণ্য হওয়া বিষয়ে কথা বলতে শুরু করে- রাজতন্ত্রের সংস্কার, সংবিধানের সংস্কার, সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কমানো ইত্যাদি।

তরুণ রাজনীতিকদের এই আহ্বানে থাইল্যান্ডের সাধারণ জনতাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ওই বিক্ষোভ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক তরুণ নেতাকেই কারাগারে যেতে হয়। তবে ওই তরুণ রাজনৈতিক নেতাদেরই একটি অংশ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি গড়ে তোলে এবং রোববারের বিজয় ছিনিয়ে আনে।

আর এই নির্বাচনী ফল এখন সামরিক ক্ষমতা কাঠামোকে একটি রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে টেনে এনেছে, যেখানে এমন একটি রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষ হয়েছে, যারা তাদের ইশতেহারে রাজতন্ত্র সংস্কারের ওয়াদা করেছে।

বর্তমান বিশ্বে থাইল্যান্ডেই রাজতন্ত্র সুরক্ষার পক্ষে কঠোর আইন বিদ্যমান। সেদেশে কেউ রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং কারাভোগ করতে হয়।

অবশ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, আরেকটি অভ্যুত্থান হলে থাইল্যান্ডকে চড়া মূল্য দিতে হবে এবং এই বিপুল জনসমর্থন পাওয়া একটি দলকে বিলুপ্ত করার পরিণতিও হবে খুব একটা ভালো হবে না।

অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইনস্টিটিউটের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া কর্মসূচির পরিচালক সুজানা প্যাটন সিএনএনকে বলেন, “একটি দলকে বিলুপ্ত ঘোষণার পদক্ষেপটি হবে খুবই মারাত্মক পদক্ষেপ। বিলুপ্ত না করে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে যদি ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা যায়, সেক্ষেত্রে রক্ষণশীল রাজনীতিকরা সম্ভবত ওই পথই বেছে নেবেন।

“কারণ এটা ‘জনমতকে উপেক্ষা করা’র কঠিন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির আবেদন তাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর সমর্থকদের সীমা পেরিয়ে সমাজের অন্যান্য বয়সীদেরও আকৃষ্ট করেছে। নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফল থেকে জানা গেছে, রাজধানী ব্যাংককের ৩৩টি আসনের ৩২টিতেই জিতেছে প্রগতিশীল বলে বিবেচিতরা। অথচ ব্যাংকককে সাধারণত রক্ষণশীল দলগুলোর ঘাঁটি বিবেচনা করা হয়।

সুজানা প্যাটন বলেন, “আমরা ভোটের ফল থেকে যা দেখছি, তার অর্থ হচ্ছে গত এক দশকের শাসনামলে শহরাঞ্চলের বসবাসকারীরাও সরকার ও তাদের পেছনে থাকা সামরিক বাহিনীর উপর বিরক্ত হয়ে গেছে।

“তারা এখন ভিন্ন কিছুর প্রত্যাশা করছে এবং মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এখন শুধু তরুণদেরই নয়, বরং সমাজের অন্যান্য অংশ থেকেও সমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে।”

মুভ ফরোয়ার্ডদের নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে আছে সামরিক বাহিনীর সংস্কার, সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক ভর্তির ব্যবস্থা পাল্টানো, সামরিক বাহিনীর বাজেট কমানো, এই বাহিনীকে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আনা এবং সংবিধানের পরিবর্তন করে সামরিক বাহিনী ও রাজতন্ত্রকে সংবিধানের আওতায় আনা।

এবারের নির্বাচনে পুয়ে থাইকে পেছনে ফেলে মুভ ফরোয়ার্ডদের শীর্ষস্থান দখলের ঘটনাও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০০১ সালের পর এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল সেনা অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে জড়িত দলকে থাইল্যান্ডের নির্বাচনে পরাজিত করেছে।

ভোটের মাঠের এই ফলাফল এটাও বলছে যে প্রচলিত ধারার যে রাজনীতির সঙ্গে পুয়ে থাই জড়িয়ে পড়েছে, তা থেকেও তাদের বের হয়ে আসার বার্তা দিচ্ছে জনগণ।

প্যাটন বলেন, থাইল্যান্ডের দুই দলীয় ব্যবস্থা ২০১৯ সালেই ভেঙে পড়ে, কিন্তু এবারের নির্বাচনে সেই ভেঙে যাওয়ার প্রক্রিয়া থামেনি বরং তা অব্যাহত আছে।

থাইল্যান্ডের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ৬০ দিন লেগে যেতে পারে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত বলেছেন, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি অন্য চারটি বিরোধী দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে চান।

থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, অতীতে সামরিক বাহিনী দেশের মানুষের মতামতকে থোড়াই পাত্তা দিয়েছে। তাই মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির পক্ষে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।

পিটা লিমজারোয়েনরাত বলেছেন, তার দল রাজতন্ত্রের পক্ষের কঠোর আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে। তিনি আরও বলেন, তিনি ওই আইন অমান্যের দায়ে কারাবন্দি তরুণদের পক্ষে হয়ে লড়বেন।

থিতিনান বলেন, পিটা লিমজারোয়েনরাতের নীতি থাইল্যান্ডের ক্ষমতা কাঠামোর কেন্দ্রে আঘাত হানবে এবং তিনি এমন দেশে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছেন, যে দেশে এমনকি রাজতন্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাও রাজ প্রাসাদের বিরোধিতা হিসেবে গণ্য করা হয়।