ফেন্টানিল মাদক নিয়ে বিতর্কে চীনের উপর আগে থেকেই আরোপ করে রাখা ২০ শতাংশ শুল্কও বর্ধিত ১২৫ শতাংশ শুল্কর সঙ্গে যোগ হওয়ার ফলে চীনা পণ্যে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশে।
Published : 10 Apr 2025, 10:41 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বুধবার চীনের পণ্যের উপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনই হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের উপর মোট শুল্ক বেড়ে ১২৫ শতাংশ নয় বরং ১৪৫ শতাংশ হয়েছে।
১২৫ শতাংশ শুল্ক বেড়ে কেন ১৪৫ শতাংশ হল সে ব্যাখ্যাও দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চীনের পণ্যের উপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
তবে প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিল নিয়ে বিতর্কে চীনের উপর আগে থেকেই আরোপ করে রাখা ২০ শতাংশ শুল্কও বর্ধিত এই ১২৫ শতাংশ শুল্কর সঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে চীনের পণ্যে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে।
পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ বেড়েছে। বুধবার চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে মার্কিন আমদানি পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন।
চীন আগেই ট্রাম্পের শুল্ক তীরের কাছে মাথা নত না করে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। এরপর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ কেবলই তীব্র হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই চীনের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে তা আরও ৩৪ শতাংশ বাড়ান ট্রাম্প। পাল্টা মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেয় চীন। পরে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়ান চীনা পণ্যের উপর।
মোট শুল্ক বেড়ে হয় ১০৪ শতাংশ। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়াতেই চীন ফের পাল্টা ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায়। পরিস্থিতি দাঁড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক বনাম চীনের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক।
দু’দেশের এই শুল্ক সংঘাতের মধ্যেই ট্রাম্প বুধবার চীনে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন। অন্যান্য দেশগুলোতে ট্রাম্প উচ্চহারের শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে আপাতত স্বস্তি দিলেও চীনের ক্ষেত্রে তা করেননি।