মার্কিন বাহিনী লোহিত সাগরের উপর থেকে হুতিদের অনেকগুলো ড্রোন ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামায়।
Published : 22 Dec 2024, 10:28 AM
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম এবং কমান্ড-ও-কন্ট্রোল সেন্টার রয়েছে।
শনিবার রাতে সামাজিক মাধ্যম এক্স এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, “হুতিদের তৎপরতা ব্যাহত ও দমন করা এসব হামলার লক্ষ্য ছিল।”
তারা বলেছে, ইরানের মিত্র গোষ্ঠীটি এর আগে লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেব প্রণালী ও এডেন উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছিল।
আল আরাবিয়া নিউজ জানায়, মার্কিন বাহিনী লোহিত সাগরের উপর থেকে হুতিদের অনেকগুলো ড্রোন ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়েছে।
“এই আঘাত যুক্তরাষ্ট্র ও অংশীদার সেনাদের, আঞ্চলিক অংশীদারদের এবং আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল সুরক্ষায় সেন্টকমের চলমান প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন,” বিবৃতিতে বলেছে সেন্টকম।
এক সপ্তাহ ধরে হুতি ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, এ সময়টিতেই সানায় বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোররাতে সর্বশেষ ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতিরা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তেল আবিবের জাফা এলাকায় আঘাত হানার আগে তারা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে তেল আবিবের দিকে আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল হুতিরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইয়েমেনের সানা ও বন্দর শহর হোদেইদাহসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। এসব হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়।
এর আগে গত সপ্তাহের সোমবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুতিরা। হুতিদের দাবি, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।
আলজাজিরা বলছে, এসব হামলার মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে হুতিরা। গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১৫ মাস ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
একই তৎপরতার অংশ হিসেবে হুতিরা ইয়েমেনের উপকূলবর্তী লোাহিত সাগর ও আশপাশের জলপথে হামলা চালাচ্ছে। গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তারা ইসরায়েলি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যস্থল করছে বলে দাবি তাদের।
এসব হামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্যস্থলগুলোতে কয়েক মাস ধরে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু তাতেও ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটিকে থামানো যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন হুতিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।
CENTCOM Conducts Airstrikes Against Iran-Backed Houthi Missile Storage and Command/Control Facilities in Yemen
TAMPA, Fla. - U.S. Central Command (CENTCOM) forces conducted precision airstrikes against a missile storage facility and a command-and-control facility operated by… pic.twitter.com/YRWWQJIweP
— U.S. Central Command (@CENTCOM) December 21, 2024
আরও পড়ুন:
হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারল না ইসরায়েল, পড়ল তেল আবিবে