ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়াকে তাগাদা দেওয়ার মধ্যে মস্কোর ওপর চাপ কমানোর এই প্রয়াস নিয়েছে।
Published : 19 Mar 2025, 07:24 PM
রাশিয়ার নাশকতা, মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং সাইবার হামলা মোকাবেলার সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়াকে তাগাদা দেওয়ার মধ্যে মস্কোর ওপর চাপ কমানোর এই প্রয়াস নিয়েছে।
রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ জোরদার করছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছর তার জাতীয় নিরাপত্তা টীমকে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পরিকল্পনাটি পচোলনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)। আর অন্তত সাতটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে মিলে কাজ করেছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য।
এই সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা সাবেক ৭ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগে সাবেক বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের দলকে এই প্রচেষ্টার বিষয়ে অবহিত করেছিল এবং রাশিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি, হ্যাকিং ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের মতো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের কাজ অব্যাহত রাখার অনুরোধও করেছিল।
তবে গত ২০ জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা।
বাইডেন প্রশাসনের ওই উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা এরপর থেকে কীভাবে এ বিষয়টিতে কাজ করা স্থগিত করেছে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রথম করেছে রয়টার্স।
সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকগুলো এখন আর নিয়মিত হয় না।
মার্কিন গোয়েন্দা পরিষেবা দপ্তর, এফবিআই, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মার্কিন বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে যে সমন্বিত প্রচেষ্টা ছিল তাও বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)।
তবে খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রশাসনকে রাশিয়ার প্রচারের ওপর নজর রাখা এবং তা মোকাবেলা করার কাজ স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন কি না, বা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো এখনও অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগে কাজ করছে কি না, বা তারা হোয়াইট হাউজের বাইরে স্বাধীনভাবে নিজস্ব কোনও নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না- সে বিষয়ে রয়টার্স কিছু জানতে পারেনি।
রাশিয়ার প্রচারের ওপর নজরদারির কাজে জড়িত টীমগুলোর কিছু কর্মকর্তা উদ্বিগ্ন যে, ট্রম্প প্রশাসন গোয়েন্দা সতর্কবার্তা থাকার পরও এ বিষয়টিতে অগ্রাধিকার কমাচ্ছে।