ফিলিস্তিনি বন্দি যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে সাতজনকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 09 Feb 2025, 12:41 AM
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তিন জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েলের কারাগারগুলো থেকে মোট ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে এটি পঞ্চম বন্দি বিনিময়, জানিয়েছে আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি বন্দি যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে সাতজনকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যরা ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছেন।
হামাস শনিবার স্থানীয় সময় সকালে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এরপর ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলের কারাগার পরিষেবা নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের কারাগার পরিষেবা এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
মুক্ত ফিলিস্তিনিদের এরপর পশ্চিম তীর, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়। চুক্তির সমঝোতা অনুযায়ী এ পর্বে পাঁচবার বন্দি বিনিময় হয়। প্রথম ধাপের এ যুদ্ধবিরতি মার্চের প্রথম কয়েকদিন পর্যন্ত বজায় থাকায় কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চারদিক থেকে অবরুদ্ধ গাজা বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করার প্রস্তাব দেওয়ার পর ভঙ্গুর এ যুদ্ধবিরতি আরও হুমকির মুখে পড়েছে।
হামাস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসরায়েলি জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়।
ইসরায়েলিদের মুক্তির কিছুক্ষণ পর টেলিভিশন ফুটেজে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি কারাগার ওফার থেকে একটি বাস বের হতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর রামাল্লায় ওই বাস থেকে মুক্তি পাওয়া ৪২ ফিলিস্তিনি নেমে আসেন। এ সময় সেখানে অপেক্ষমাণ জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি জানিয়েছে, রামাল্লায় ফেরা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সাতজনকে পরে মিশরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তাদের অন্য কোনো দেশে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
যে ফিলিস্তিনিরা মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে হামাসের বেশ কয়েজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়েছেন। তাদের অন্যতম ইয়াদ আবু শাখদাম (৪৯) । তাকে প্রায় ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে দু’টি বাস গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসে যায়। এই দুই বাসে কতোজন ফিলিস্তিনি ছিল তা পরিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন: