এবারের আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়াকে সমুদ্রপথ বিশেষ করে কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো একে ‘সিজফায়ার লাইট’ অভিহিত করছে।
Published : 24 Mar 2025, 04:21 PM
জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধে সমঝোতার পর রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে সমুদ্রপথে যুদ্ধবিরতি অর্জনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠকে বসেছেন মস্কো ও ওয়াশিংটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সোমবার রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আগেরদিন একই প্রসঙ্গে ইউক্রেইন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। যাকে ‘ইতিবাচক’ বলেছেন কিইভের কর্মকর্তারা।
ইউক্রেইনের প্রতিনিধি দলও রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে থাকছেন, তবে তাদের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের কথা হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান গ্রিগরি কারাসিন। তার সঙ্গে থাকবেন রুশ নিরাপত্তা সংস্থা-এফএসবি প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলোচক দলের নেতৃত্বে থাকবেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ঊর্ধ্বতন পরিচালক অ্যান্ড্রু পিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্টন।
এবারের আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়াকে সমুদ্রপথ বিশেষ করে কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো একে ‘সিজফায়ার লাইট’ অভিহিত করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কিইভ চাইছে কৃষ্ণসাগরে উভয়পক্ষ সব ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকবে। অন্যদিকে রাশিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে- ২০২২ সালে হওয়া শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা, যার আওতায় ইউক্রেইনের শস্যবাহী নৌযান হামলার বাইরে থাকবে।
এর আগে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও কিইভের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সৌদি আরবে এসব আলোচনার মধ্যেও রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা থেকে নেই।
কিইভ বলছে, রোববার রাতভর রাশিয়া ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ৯৯টি ড্রোন ছুড়েছে, যার ৫৭টিই ভূপাতিত করেছে তারা। মস্কো বলছে, তারাও ইউক্রেইনের ২৮ ড্রোনকে প্রতিহত করেছে।
এদিকে ইউক্রেইনের বিশেষ বাহিনী জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার বেলগোরদ এলাকায় চারটি রুশ সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।
রোববার ইউক্রেইনের রাষ্ট্র-মালিকানাধীন রেলওয়ে কোম্পানি ‘বড় ধরনের সাইবার হামলার’ শিকার হওয়ার কথাও জানিয়েছে।
“হামলাটি ছিল পদ্ধতিগত, বহুমুখী ও ব্যাপক আকারের,” বলেছে তারা।
সোমবার রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরুর আগে আগে রিটজ-কার্লটন হোটেল থেকে সব সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস। এরপর দুই পক্ষ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে।