যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবারেই জানিয়েছিল, ইউক্রেইন এবং রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধে রাজি হয়েছে। তবে দুপক্ষের এ চুক্তি কখন, কীভাবে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়।
Published : 26 Mar 2025, 08:02 PM
কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধে সমঝোতার মধ্যেই রাশিয়া মঙ্গলবার রাতভর ইউক্রেইনের মাইকোলাইভ বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই বন্দর ইউক্রেইনের জন্য কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ।
ক্রিভি রিহ শহরেও রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার চালানো এটিই সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা।
যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবারেই রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কৃষ্ণ সাগর এবং জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধের বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তিতে উপনীত হয়।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ইউক্রেইন এবং রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে একে অপরের ওপর হামলা বন্ধে রাজি হয়েছে। তবে দু’পক্ষের এই চুক্তি কখন, কীভাবে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়।
মাইকোলাইভের মেয়র জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে শহরে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়। এর আগে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছিলেন, রাতভর আকাশে সাতটি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়াটা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে করা হয়েছিল, নাকি হামলার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওদিকে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেইনের কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিহ-তে অগ্নিকাণ্ড হয় এবং বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান।
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে ৫৬টি ভূপাতিত করেছে। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪৮টি ড্রোন হারিয়ে গেছে।
ক্রিভি রিহ-এর সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডর ভিলকুল টেলিগ্রামে লিখেছেন, “দৃশ্যত, দখলদাররা কীভাবে 'শান্তি চায়’তার নমুনা দেখা যাচ্ছে।” তবে তিনি বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হামলায় কোনও প্রাণহানি বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।”
রয়টার্স স্বাধীনভাবে মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহ-এ রুশ হামলার তথ্য যাচাই করতে পারেনি। ক্রিভি রিহ-এ কত বড় হামলা হয়েছে এবং কী লক্ষ্যবস্তু ছিল, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শহর ক্রিভি রিহ-এ অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভিলকুল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে তারা দাবি করেছে, মঙ্গলবার রাতে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ইউক্রেইনের নয়টি ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের ওপর।