নাতালির যাত্রা সহজ ছিল না। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দৌড়ানোর সময় তার জুতা গলে যায়।
Published : 16 Jun 2024, 05:01 PM
নাটালি দাউ নামে ৫২ বছর বয়সী এক আল্ট্রাম্যারাথনবিদ সম্প্রতি ১০০০ কিলোমিটার দৌড়ে একটি অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
মাত্র ১২ দিনে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরজুড়ে দৌড়ে তিনি এই রেকর্ড করেন।
প্রচণ্ড গরম এবং গুরুতর নিতম্বের আঘাতের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও নাতালি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। প্রতিদিন দু’টি ম্যারাথনের সমান দূরত্ব দৌড়েছিলেন। গত ৫ জুন সিঙ্গাপুরে তার যাত্রা শেষ হয়।
নাতালি "দ্রুততম ১,০০০ কিলোমিটার থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর আল্ট্রাম্যারাথন" এর সিঙ্গাপুর রেকর্ড অর্জন করেছে।
এছাড়াও, তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে "পায়ে হেঁটে উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ার দ্রুততম ক্রসিং" এর প্রশংসাপত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন।
নাতালি বিশ্বব্যাপী জিআরএলএসের জন্য ৫০,০০০ ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছেন। এই সংস্থাটি খেলাধুলার মাধ্যমে নারীদের অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে।
তিনি বলেন, "আপনি প্রথম বা শেষ যাই হোন না কেন, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি প্রায় অতিমানবীয় কিছু করেছেন, যা বিশ্বের জনসংখ্যার ০.০৫ শতাংশ কখনই করবে না।”
নাতালির যাত্রা সহজ ছিল না। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দৌড়ানোর সময় তার জুতা গলে যায়।
প্রথম দিন থেকেই তিনি নিতম্বের চোটের সঙ্গে লড়াই করেন। তৃতীয় দিনে তার মূত্রনালীতে ইনফেকশন দেখা দেয়।
তবে নাতালি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পেরেছেন। প্রতিদিন তিনি অন্তত ৮৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।
পুরো দৌড় জুড়ে, তিনি রাতে তার সমর্থকদের ভয়েস বার্তার মাধ্যমে আপডেট করতেন। সমর্থকেরা তার বিজয় এবং তার সংগ্রাম উভয়ই ভাগ করে নিয়েছিলেন।
নাতালির অর্জন ব্যক্তিগত অর্জনের বাইরেও প্রসারিত। তিনি আশা করেন যে তার যাত্রা অন্যদের, বিশেষত নারীদের এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে অনুপ্রাণিত করবে।
নাতালি প্রতিদিন ক্লান্তি দূর করে জেগে ওঠাকে "সবচেয়ে ভীতিকর" অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই ভয়ে যে তিনি হয়তো আর চালিয়ে যেতে পারবেন না। তবুও, ক্লান্তি, ফোস্কা পড়া পায়ের আঙুল এবং তার পরিবারকে দেখার অপ্রতিরোধ্য আকাঙ্ক্ষা সত্ত্বেও, তিনি নিজে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন।
তিনি বলেন, ফিনিশ লাইন যে অনেক দূরে এটা নিয়ে কখনো ভাবা যাবে না।