যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সরকারকে আরও দক্ষ করতে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে নতুন একটি বিভাগ তৈরি করেছেন।
Published : 13 Nov 2024, 11:21 AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে সাহায্য করা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক দেশটির নতুন সরকারের প্রভাবশালী একটি পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার সরকারকে আরও দক্ষ করতে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে নতুন একটি বিভাগ তৈরি করে এর সহপ্রধান হিসেবে মাস্ককে নিয়োগ দিয়েছেন। বিভাগটিতে মাস্কের পাশাপাশি আরেক সহপ্রধান হিসেবে থাকবেন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামস্বামী।
তাদের এসব নিয়োগের কথা মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের পরিচালিত বিভাগটি সরকারি সীমার বাইরে থেকে কাজ করবে, ট্রাম্প এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মাস্ক ও রামস্বামী আমার প্রশাসনে সরকারি আমলাতন্ত্র, অতিরিক্ত প্রবিধান বাদ দেওয়া, অপব্যয় হ্রাস এবং ফেডারেল সংস্থাগুলো পুনর্গঠনের পথ প্রশস্ত করবে।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, নতুন বিভাগটি রিপাবলিকানদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন উপলব্ধি করে ‘সরকারের বাইরে থেকে পরামর্শ ও পর্থনির্দেশ করবে।”
এর মাধ্যমে তিনি মাস্ক ও রামস্বামীর ভূমিকা অনানুষ্ঠানিক হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর ফলে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না এবং মাস্ক তার বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা, সামাজিক মাধ্যম এক্স এবং রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স এর প্রধান হিসেবে বহাল থাকতে পারবেন।
ট্রাম্প জানান, নতুন এই বিভাগটি হোয়াইট হাউজ এবং ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তরের সঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে সরকারে বড় আকারের কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি উদ্যোক্তা পন্থা তৈরি হবে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।”
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৫০তম বার্ষিকীতে, ২০২৬ সালের ৪ জুলাই এই কাজ শেষ হবে।
ফোবর্সের তালিকা অনুযায়ী মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে সাহায্য করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছেন এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন জনসভায়ও হাজির থেকেছেন। ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, সরকারের দক্ষতা বাড়াতে তিনি তার প্রশাসনে মাস্ককে একটি ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেবেন।
রামস্বামী একজন ব্যবসায়ী ও রিপাবলিকান দলের সদস্য। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্টের কট্টর সমর্থক হিসেবে হাজির হন।