বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নেটো সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ইউক্রেইন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠকে এই সাহায্য ঘোষণা করা হয়।
Published : 11 Apr 2025, 10:38 PM
ইউক্রেইনের জন্য ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো নতুন করে ২, ১০০ কোটি ইউরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০২৫ সালকে ‘যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর’ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
বেলজিয়ামের রাজধানী পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ইউক্রেইন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের (ইউডিসিজি) বৈঠকে এই সাহায্য ঘোষণা করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনকে এই সহায়তার অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ, ১ হাজার ১০০ কোটি ইউরো চার বছরের জন্য দেবে জার্মানি।
এই সহায়তার প্রতিশ্রুতি রাশিয়াকে কড়া বার্তা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি। এই সামরিক সাহায্যের মধ্যে থাকছে আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেইনকে সহায়তা দেওয়ার বদলে অন্যান্য বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ায় যে ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে সেটিই পূরণের চেষ্টা নিয়েছে ইউরোপ।
ট্রাম্প ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ইউরোপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বলছেন, তারা যুদ্ধ শেষের কোনও লক্ষণ দেখছেন না।
শুক্রবার ইউক্রেইনের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো একযোগে ২১০০ কোটি ইউরো সহায়তা ঘোষণার আগে যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে ইউক্রেইনের জন্য ৪৫ কোটি পাউন্ড সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছিল।
ব্রাসেলসের বৈঠকে ইউক্রেইন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের ৫০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এই সহায়তা ঘোষণার জন্য ইউক্রেনের মিত্রদের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। ইউরোপের দেশগুলোর তিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় কালক্ষেপণের অভিযোগ করেন।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত শান্তি প্রস্তাব রাশিয়ার প্রত্যাখ্যান করা একমাসের বেশি হয়ে গেছে। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাশিয়া এখনও শান্তিতে আগ্রহী নয়।
ইউরোপীয় মন্ত্রীদের এই আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই ক্রেমলিনকে যুদ্ধবিরতিতে আরেকবার রাজি করানোর চেষ্টায় রাশিয়া সফরে গেছেন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিন এবং উইটকফ ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন, তবে কোনও ‘অগ্রগতি’ আশা করা উচিত হবে না।