ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইলাতের একটি স্কুলে ড্রোন হামলার পর প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবারের ড্রোন হামলার জন্য সিরিয়ার একটি ‘সংগঠন’কে দায় দিয়েছে ইসরায়েল। ওই সংগঠনের অবস্থান লক্ষ্য করেই তারা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
রয়টার্স জানিয়েছে, লোহিত সাগর উপকূলের ইসরায়েলি শহর ইলাত নিটকবর্তী সিরীয় ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। সিরিয়ার কোন ‘সংগঠন’ শহরটিতে হামলা চালিয়েছে তা জানায়নি ইসরায়েলি বাহিনী।
কিন্তু এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তারা মনে করে ‘সিরীয় ভূখণ্ড থেকে হওয়া যে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য’ সিরীয় সরকার পুরোপুরি দায়ী।
ইলাতে ড্রোন হামলার ঘটনায় সামান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কারও হতাহত হওয়ার খবর হয়নি।
৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করে প্রায়ই ইসরায়েলে হামলা চালানো হচ্ছে, ড্রোনের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।
৭ অক্টোবর থেকে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী বারবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে যার সবগুলোই হয় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে অথবা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার হুতিরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তার মধ্যে ইলাতের কয়েকটি সামরিক স্থাপনাও আছে।
ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লোহিত সাগরের কাছে ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে উড়ে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে তাদের ‘অ্যারো’ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। তাদের প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা সিস্টেম দক্ষিণাঞ্চলীয় নেগেভ মরুভূমিতে ‘সন্দেহজনক একটি লক্ষ্যবস্তুকে’ বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েল এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ‘সন্দেহজনক লক্ষ্যবস্তুর’ জন্য কাউকে দোষারোপ করেনি। নিজেদের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের সুরক্ষা জোরদার করতে দেশটি লোহিত সাগরে তাদের নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও অঞ্চলটিতে তাদের নৌ-শক্তির উল্লেখযোগ্য সমাবেশ ঘটিয়েছে।
লোহিত সাগর হয়ে চালানো ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র ইলাত বন্দর।
সমুদ্র বিষয়ক ব্রিটিশ নিরাপত্তা কোম্পানি আমব্রের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল মুলার বলেছেন, “৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইলাতে বৃহস্পতিবারের ড্রোন হামলায়ই সম্ভবত প্রথম নিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি জানান, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ও হুতিরা ‘ইলাতের দিকে বহু রকেট, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ইউএভি ছুড়েছে’।
আরও পড়ুন: