চীনা উপকূলরক্ষীদের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘বর্বর এবং অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেছে ফিলিপিন্সের উপকূলরক্ষীরা।
Published : 07 Jun 2024, 03:33 PM
দক্ষিণ চীন সাগরে সশস্ত্র বাহিনীর এক অসুস্থ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় চীনা উপকূলরক্ষীরা বাধ সেধেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিপিন্স।
শুক্রবার ফিলিপিন্সের উপকূলরক্ষীরা এই অভিযোগ করে। চীনা উপকূলরক্ষীদের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘বর্বর এবং অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেছে তারা।
ঘটনাটি ঘটে গত মাসে। অসুস্থ ওই ব্যক্তি সেকেন্ড টমাস শোল দ্বীপে বিআরপি সিয়েরা মাদ্রে- জাহাজের পাহারায় নিযুক্ত নৌবাহিনীর একটি দলের সদস্য। এই দ্বীপে গতবছর চীন এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে বারবার সংঘাত হয়েছে।
ফিলিপিন্সের কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র জে টেরিয়েলা বলেছেন, উপকূলরক্ষী এবং নৌবাহিনীর নৌকাগুলো চীনা জাহাজের হয়রানির শিকার হয়েছে। যদিও সেগুলো চিকিৎসা অভিযানে ছিল বলে তাদেরকে জানানো হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে টরিয়েলা বলেন, “চীনের উপকূলরক্ষীরা যে বর্বর এবং অমানবিক আচরণ দেখিয়েছে, আমাদের সমাজে এর কোনও স্থান নেই।”
চীনা উপকূলরক্ষীরা বিপজ্জনক রণকৌশল নিয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থ সেনাকে বহনকারী নৌবাহিনীর নৌকাকে ধাক্কা দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের সামরিক প্রধান রোমিও ব্রাউনার বলেছিলেন, অসুস্থ সেনাকে পশ্চিমাঞ্চলীয় পালাওয়ান প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রথম প্রচেষ্টা চীনা উপকূলরক্ষীদের বাধার মুখে ব্যর্থ হয়।
পরদিন ফিলিপিন্সের উপকূলরক্ষীদের সহায়তায় আরেকবারের চেষ্টায় অসুস্থ ওই সেনাকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
প্রায় গোটা দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এ সাগরপথে বছরে বার্ষিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি জাহাজ বাণিজ্যে।
চীন তার মূল ভূখণ্ড থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পাহারা দেওয়ার জন্য সেখানে শত শত উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে।