লেবাননের সংঘাত বৃদ্ধি একটি ‘মাইনফিল্ড’ যেটি বিশ্ব সম্প্রদায় হয়তো সামাল দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Published : 24 Sep 2024, 03:16 PM
গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ও লেবাননে সংঘাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইসরায়েল পর্যাপ্ত চাপের সম্মুখীন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ইয়ারাপেত্রিতিস।
সোমবার তিনি বলেছেন, লেবাননের সংঘাত বৃদ্ধি একটি ‘মাইনফিল্ড’ যেটি বিশ্ব সম্প্রদায় হয়তো সামাল দিতে পারবে না।
চলতি বছরের প্রথমদিকে গ্রিস ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আরব বিশ্বের সঙ্গে এথেন্সের ঐতিহাসিক মিত্রতার বিষয়ে গ্রিস আস্থাশীল আর ইসরায়েল দেশটিকে শান্তির জন্য মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বিরতিতে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ারাপ্রেত্রিতিস বলেন, “মনে হচ্ছে ইসরায়েলের ওপর কার্যকর কোনো চাপ নেই। আমরা ইসরায়েলের বন্ধু, আমরা ইসরায়েলের কৌশলগত অংশীদার আর আমরা তাদের সঙ্গে খোলামেলা ও আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করছি।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণের নিন্দা করেছিল গ্রিস। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় স্থল ও আকাশ হামলা শুরু করলে তা থামানোর আহ্বান জানিয়েছিল এথেন্স। গত প্রায় এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও ভূখণ্ডটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি বলেন, “সত্য হল এই মুহুর্তে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ক্রমাগত খুব শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে।”
আরব ও ইউরোপীয়রা পৃথক উদ্যোগের পরিবর্তে যৌথভাবে চাপ সৃষ্টিতে কাজ করছে এটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এটি ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাতের বৃদ্ধি একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক ব্যর্থতাকে তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইয়ারাপ্রেত্রিতিস বলেন, “আমরা বিস্তৃতি ও যুদ্ধের আরও ছড়িয়ে পড়া রোধ করিনি, পরিস্থিতির যত অবনতি হবে সেটি সমাধান করা তত জটিল হবে। লেবানন সহজেই ভয়ঙ্কর শত্রুতার একটা অঞ্চল হয়ে উঠতে পারে আর তা এমন কিছু হতে পারে যা হয়তো আমরা সামাল দিতে পারবো না। এটি পরিষ্কারভাবে একটি মাইনফিল্ড।”
জুন থেকেই গ্রিস ইইউয়ের সদস্য দেশগুলোকে গাজা যুদ্ধে আহত ও শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত পাওয়া শিশুদের অস্থায়ীভাবে ইউরোপে এনে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। এটি শিগগিরই ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছেন ইয়ারাপ্রেত্রিতিস। তিনি জানিয়েছেন, গ্রিস এ পরিস্থিতির শিকার প্রায় ৫০০ শিশুকে চিকিৎসা দিতে পারবে।
আরও পড়ুন:
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৯২
বিস্তৃত যুদ্ধের ‘অপরিবর্তনীয়’ পরিণতি নিয়ে সতর্ক করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট