যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে বেইজিংও পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। দুই শীর্ষ অর্থনীতির এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ বিশ্বের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে জোর ধাক্কা দিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে অনেক দেশ ও কোম্পানিকে কষতে হচ্ছে জটিল সব হিসাব-নিকাশ।
Published : 13 Apr 2025, 11:17 PM
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া চীনা পণ্যে সম্পূরক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে ‘ভুল শুধরে নিতে’ ওয়াশিংটনের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইলেকট্রনিক্স ও চিপ-নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে বাড়তি শুল্ক থেকে রেহাই দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়ায় রোববার চীন এ আহ্বান জানায়।
“ভুল সংশোধনে বড় পদক্ষেপ নিতে, সম্পূরক শুল্কের ভুল চর্চা পুরোপুরি বন্ধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঠিক পথে ফিরে আসতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি,” এক বিবৃতিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ কথা বলেছেন বলে প্যারিসভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এর আগে শুক্রবার রাতে মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যালয় এক নোটিসে জানায়, চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের সিংহভাগ দেশের পণ্যে যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, মেমরি চিপ ও অন্যান্য কিছু পণ্যকে ছাড় দেওয়া হবে।
শনিবার রাতে মিয়ামি সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্পও এই ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামনে এ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
পরে বেইজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এসব পণ্যে ছাড় খুবই ‘ছোট পদক্ষেপ’, চীন এর ‘প্রভাব পর্যালোচনা’ করছে।
চীন থেকে আমদানি পণ্যে ট্রাম্পের ১২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এর পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে বেইজিংও পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। দুই শীর্ষ অর্থনীতির এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ বিশ্বের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে জোর ধাক্কা দিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে অনেক দেশ ও কোম্পানিকে কষতে হচ্ছে জটিল সব হিসাব-নিকাশ।
যুক্তরাষ্ট্র ইলেকট্রনিক্স ও চিপনির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণে ছাড় দেওয়ায় এনভিডিয়া, ডেল ও আইফোন নির্মাতা অ্যাপলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো উপকৃত হবে। এসব কোম্পানি তাদের বেশিরভাগ পণ্যই চীনে উৎপাদন করে।
চীনের পণ্যে আগেই ট্রাম্প ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়েছিলেন, এপ্রিলে তার সঙ্গে যুক্ত করেন আরও ১২৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ১৪৫ শতাংশ।
ট্রাম্প পরে তার সম্পূরক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে বেশিরভাগ দেশকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও এই তালিকায় চীনকে রাখেননি, যে কারণে ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাদে বেশিরভাগ চীনা পণ্যকে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ১৪৫ শতাংশ শুল্কই দিতে হচ্ছে।
বাড়তি শুল্ক থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে রেহাই দিলেন ট্রাম্প