“এটি যে উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই,” বলেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
Published : 23 Feb 2025, 12:50 PM
ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলের শহর মুলুজে ছুরি হামলায় একজন নিহত ও তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩৭ বছর বয়সী এক আলজেরীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন এ ব্যক্তি হামলার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বারবার চিৎকার করায় একে সন্ত্রাসী হামলা ধরে নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হামলায় আহত তিনজনের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থা গুরুতর। একজনের ঘাড়ে ও অন্যজনের বুকে আঘাত লেগেছে।
৬৯ বছর বয়সী এক পর্তুগিজ পুলিশের ওপর এ হামলায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তিনিও ছুরিকাহত হন এবং পরে মারা যান।
সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত নজরদারি তালিকায় থাকা এ সন্দেহভাজনকে হামলার আগেই কর্তৃপক্ষ তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল, বলেছেন স্থানীয় কৌঁসুলি।
শনিবারের এ ঘটনাকে ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
“এটি যে উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিশ্চিহ্নের কাজ চালিয়ে যেতে সরকার ও আমার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি আমি,” বলেছেন তিনি।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সমর্থনে হওয়া এক কর্মসূচির সময় এ হামলা হয়, আহত পুলিশ সদস্যরা সেখানে টহলে ছিলেন।
“আতঙ্ক আমাদের শহরকে গ্রাস করেছে,” ফেইসবুকে এমনটাই বলেছেন মুলুজের মেয়র মিশিল লুটজ।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফঁসোয়া বেইরু এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, “ধর্মান্ধতা ফের আঘাত হেনেছে, আমরা শোকাহত। হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে দৃঢ় আশাবাদও ব্যক্ত করছি।”
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো মুলুজে যান বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
রেতাইয়ো স্থানীয় টিএফওয়ান টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, সন্দেহভাজন আলজেরীয়কে অন্তত ১০ বার আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে ফ্রান্স, কিন্তু আলজেরিয়ার সরকার তাকে ফেরত নেয়নি।
২০১৪ সালে ফ্রান্সে আসা এ সন্দেহভাজন হামলাকারী পরে সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করার দায়ে দোষীও সাব্যস্ত হয়েছিল, বলেছেন রেতাইয়ো।
রক্ষণশীল এ রাজনীতিক শনিবারের ছুরি হামলার জন্য ‘অভিবাসন’ ও ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদ’কে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনার পর আলজেরীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আলজেরীয় সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।