চীনের তৈরি যে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যুদ্ধে অগ্রগতি পেয়েছিল এখন সেই অস্ত্রই জান্তার হাতে থাকায় নতুন হুমকিতে বিদ্রোহীরা।
Published : 13 Jun 2024, 10:18 PM
মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত বছর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে চীনের তৈরি বিক্ষিপ্ত কিছু বাণিজ্যিক ড্রোনের ওপর নির্ভর করে যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছিল। আর এখন তাদের সুপরিচিত সেই অস্ত্রই তারা দেখতে পাচ্ছে দেশের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার হাতে।
চীনের তৈরি বাণিজ্যিক ড্রোনগুলো অস্ত্র বহনের উপযোগী করে তা ব্যবহার করছে জান্তা। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ৭ জন বলেছেন, সম্প্রতি কয়েকমাসে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা এই ড্রোন হামলার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইয়োকে গিয়ি পরিচয়ে ৩১ বছর বয়সী এক বিদ্রোহী যোদ্ধা বলেছেন, “বিদ্রোহী এবং জান্তা দুপক্ষই এখন ড্রোন ব্যবহার করায় যুদ্ধের পট পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, গত বছর শেষের দিকে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র ড্রোন (ইউএভি) ব্যবহার করছে জান্তা এবং তার বিদ্রোহী ইউনিট একটি ড্রোন ভূপাতিতও করেছে, যার যন্ত্রাংশ থেকে তারা বুঝতে পেরেছে এটি চীনা যন্ত্রাংশে তৈরি এবং যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি করা।
মিয়ানমারের অন্য অংশেও দুই বিদ্রোহী যোদ্ধা একই ধরনের ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। বার্তা সংস্থাটি সংঘাতের ওপর নজর রাখা ওই অঞ্চলের একটি দেশের কর্মকর্তা, দুই বিশ্লেষক এবং চারজন প্রতিরোধ যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
তারা এই প্রথম মিয়ানমার জান্তার চীনের তৈরি ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য দিয়েছেন।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনীর কিছু যোদ্ধা এই ড্রোনের আক্রমণে আহত হয়েছে,বলেছেন যোদ্ধা ইয়োকে গিয়ি। তিনি বলেন,তারা (জান্তা) ভালভাবেই এই ড্রোন ব্যবহার করতে শিখে গেছে।
জান্তা এবছরের শুরুতে হাজার হাজার চীনা ড্রোন সংগ্রহ শুরু করেছে। এই ড্রোনগুলোতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বোমা বহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক থিংট্যাংক ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক জাও ও।
জাও বলেন, তিনি অস্ত্র উৎপাদনের বিষয়টি জানেন এমন কয়েকজন মানুষ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জান্তার এই ড্রোন সম্পর্ক জানতে পেরেছেন।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জানতে চাওয়া হলে জান্তার মুখপাত্র কিছু বলেননি। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি এই ড্রোন ব্যবহার নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেনি।