হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য দেওয়া সর্বশেষ প্রস্তাবগুলো যাচাই করার পর তাদের প্রতিনিধিরা একটি ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে কায়রোতে যাচ্ছেন।
Published : 04 May 2024, 02:50 PM
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে তারা।
মিশরীয় কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রোতে উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার হামাস একথা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এ হামলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আছেন।
মিশর ও কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধরত ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ও মধ্যস্থতা করছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস ও সিআইএ কর্মকর্তারা শনিবার কায়রোতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে তারা পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন না একত্রে, তা পরিষ্কার হয়নি না বলে মিশরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কমকর্তা জানিয়েছেন।
হামাস জানিয়েছে, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য দেওয়া সর্বশেষ প্রস্তাবগুলো যাচাই করার পর তাদের প্রতিনিধিরা একটি ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে কায়রোতে যাচ্ছেন।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি বলেছে, “ফিলিস্তিনিদের দাবিদাওয়া পূরণ করবে এমন একটি চুক্তি করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কিন্তু এখনও আরও বেশি কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, সিআইএ তাদের পরিচালকের ভ্রমণের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ না করার নীতি মেনে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত কয়েক মাস ধরেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। কিন্তু সিদ্ধান্তমূলক কোনো অগ্রগতি হয়নি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করেছে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে কয়েকজন বিদেশিসহ ২৫০ জনের মতো ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরায়েলি হামাসের হাতে বন্দি আছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এখনও তাদের লক্ষ্যে অটল আছে। অপরদিকে হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার চায়।
আরও পড়ুন:
পশ্চিম তীরে শিশু হত্যা: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ