পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও গণমাধ্যম জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে পশ্চিম তীরের তুলকার্ম শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে এসব হামলা চালানো হয়।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন ইসরায়েলি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছেন বলে তুলকার্মের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এর আগে শহরটির একটি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি তরুণের মৃত্যু হয়।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। পশ্চিম তীরেও বড় ধরনের সংঘাত শুরু হয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
৭ অক্টোবর হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজা সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলার ব্যাপকতায় হতভম্ব ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানিয়ে ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। তারপর থেকে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো গাজা ভূখণ্ডে লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
এরমধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনারা গাজা ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে ঢুকে পড়ে গাজা সিটিকে ঘিরে ফেলেছে। গাজা সিটির রাস্তায় রাস্তায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র লড়াই হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বোমা হামলায় ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের ৪০ শতাংশ শিশু। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ঘনবসতিপূর্ণ গাজা ভূখণ্ডের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম তীরজুড়ে পরিস্থিতি বিস্ফোরন্মুখ হয়ে আছে। আরব বিশ্বের অনেক অংশ থেকেই গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি শুরু করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: