যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান প্রার্থীর বিতর্কের সময় একজন কথা বলার পর অপরজনের মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়েই মূলত তকাতর্কি করছে দুই শিবির।
Published : 26 Aug 2024, 11:56 PM
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডনাল্ড ট্রাম্পের আগামী মাসের বিতর্কে মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়েছে দুই শিবির।
বিতর্কের সময় এক প্রার্থীর কথার পর আরেক প্রার্থীর কথা বলার সময় অপরজনের মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়েই মূলত তকাতর্কি করছে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান শিবির।
হ্যারিসের ডেমোক্র্যাটিক প্রচার শিবির এক বিবৃতিতে বিবিসি’র মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেছে, তারা চায় বিতর্ক চলার সবটা সময় দুই প্রার্থীর মাইক্রোফোনই চালু থাক।
ওদিকে, ট্রাম্প শিবির চাইছে ১০ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এবিসি বিতর্ক একই নিয়মে হোক যেমনটি স্থির হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী থাকার সময়।
ওই সময় মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার নিয়ম নির্ধারিত হয়েছিল। অর্থাৎ, সেই হিসাবে ট্রাম্প শিবির মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার পক্ষে।
বাইডেন যখন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান, সে সময় ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে তার ইতোমধ্যেই দুটো বিতর্ক করা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল এবং জুনে সিএনএন-এ একটি বিতর্ক হয়েও গিয়েছিল। আরেকটি বিতর্ক করার কথা ছিল এবিসি নিউজে সেপ্টেম্বরে।
বাইডেন শিবির আলাপ আলোচনা করে বিতর্কের যে নিয়ম নির্ধারণ করেছিল, তাতে স্থির হয়েছিল যে, বিতর্ক চলাকালে যখন একজন প্রার্থী কথা বলবেন না, তখন তার মাইক্রোফোনটি বন্ধ থাকবে।
ট্রাম্প শিবির এ নিয়মে রাজি হয়েছিল এবং বাইডেন-ট্রাম্পের সিএনএন বিতর্কটি এই নিয়ম মেনেই হয়েছিল।
কিন্তু এখন ফিলাডেলফিয়ায় এবিসি নিউজে ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের প্রথম মুখোমুখি বিতর্কের মাত্র ১৫ দিন আগে এসে হ্যারিস শিবির চাইছে মাইক্রোফোন পুরো বিতর্কের সময়টাতেই চালু থাক। বিতর্ক চলাকালে কখনই যেন মাইক্রোফোন বন্ধ করা না হয়।
আর মাইক্রোফোন যদি অন থাকে তাহলে বিতর্কে চলাকালে একজন কথা বলার সময় অন্যজন তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারবেন এবং মঞ্চে দুই প্রার্থীই একে অপরের পাল্টাপাল্টি কথা বলতে পারবেন।
হ্যারিস শিবিরের ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ উপদেষ্টা ব্রায়ান ফেলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবিরাম মিথ্যা বলা এবং বাধা সৃষ্টি করার বিষয়টি সামাল দিতে প্রস্তুত। মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার আড়ালে ট্রাম্পের লুকিয়ে থাকা বন্ধ করা উচিত।”
ট্রাম্প সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি বরং বিতর্কের সময় মাইক্রোফোন অন রাখবেন। তবে তিনি বলেন, বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের সময় মাইক্রোফোন বন্ধ থাকাটাই বেশি ভাল কাজে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, “আমরা সেই একই নিয়মে বিতর্ক করতে রাজি ছিলাম। আমি মনে করি সম্ভবত সেটিই হওয়া উচিত। আসল বিষয় হচ্ছে তারা (হ্যারিস শিবির) এই বিতর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। কারণ, হ্যারিস বিতর্ক করতে চান না। তিনি ভাল বিতার্কিক নন।”
ট্রাম্প শিবিরও পলিটিকোয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মতো একই সুরে কথা বলেছে। অভিযোগ করে তারা বলেছে, হ্যারিস বিতর্ক থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছেন।