ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স ধসের প্রভাবে ২০২২ সালে ক্রিপ্টো টোকেন সোলানার মূল্যমান কমে গেছে ।
গেল বুধবার, এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের প্রশংসিত এই টোকেনের মূল্যপতন হয় ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর ২০২২ সালেই এখন পর্যন্ত ৯৪ দশমিক দুই শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে এটি।
এফটিএক্স ধসের প্রভাব সমগ্র ক্রিপ্টো খাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। এক সময় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হলেও এর পতন ঘটায় বিভিন্ন ক্রিপ্টো ফার্মের তারল্যও আটকে গেছে।
ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম ‘সোলানা’-তে ব্যবহৃত এই টোকেন ‘সোলানা’ বা ‘সল’ নামে পরিচিত। প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, নন-ফাঞ্জিবল টোকেন’সহ বিভিন্ন ‘স্মার্ট কন্টাক্ট’ সমর্থিত প্ল্যাটফর্মটি ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বিনিয়োগকারী ঠকানো ও গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হতে আগামী সপ্তাহেই আদালতে যাবেন ফ্রিড, যিনি প্রায়ই সোলানার প্রশংসা করতেন। নিজস্ব ক্রিপ্টো কোম্পানি এফটিএক্স ও আলামেডার হিসাব পত্রেও তিনি সোলানার টোকেন রাখতেন।
এফটিএক্স-এর সঙ্গে সোলানার সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, এই টোকেনের সঙ্গে ফ্রিডের সম্পর্ক নিয়ে একটু বেশিই ‘জলঘোলা’ হয়েছে।
“ক্রিপ্টোর সাধারণ সমস্যা হল, এর ‘মূল্যের অভাব’ মানে হচ্ছে এর মানগুলো ভরসা ও অনুভূত উপযোগিতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। কোনো নির্দিষ্ট টোকেনের দাম পড়ে গেলে এই খাত নিজেও ভুক্তভোগী হয়।” --বলেন আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি ‘ইন্টার্যাক্টিভ ব্রোকার্সে’র -এর প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ সসনিক।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স সোলানার অবস্থান জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো মুখপাত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২ নভেম্বর এফটিএক্স-এর ঘটনা আত্মপ্রকাশের পর থেকে ৫১ দশমিক ১৪ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে ‘সল’। একই সময়ে, ইথার হারিয়েছে ২১ দশমিক তিন শতাংশ আর বিটকয়েনের বেলায় সেটি ১৭ দশমিক ছয় শতাংশ।
‘কয়েনমার্কেটক্যাপ ডটকমের’ তথ্য অনুযায়ী, ২ নভেম্বরের পর থেকে সোলানা ব্লকচেইনে ফ্রিডের তৈরি একই নামের বিকেন্দ্রিকৃত এক্সচেঞ্জ টোকেন ‘সিরাম’ বা ‘এসআরএম’-এর দাম সাড়ে ৮০ শতাংশ কমে গেছে।
সাইটটির তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ‘গগনচুম্বী মূলধন’ তিন লাখ কোটি ডলার থেকে ক্রিপ্টোমুদ্রা বাজারের সর্বমোট মূলধন এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার আটশ ৪০ কোটি ডলারে।