Published : 10 Mar 2024, 12:17 PM
অ্যাপস্টোর থেকে জনপ্রিয় ভিডিও গেইম ফোর্টনাইটের নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেইমসের ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল আইফোন নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপল। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বিষয়টির ওপর নজর দেওয়ার পরেই নিজেদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছে এ টেক জায়ান্ট। এর অর্থ, এপিক নিজস্ব অ্যাপ স্টোর ইইউ অঞ্চলের আইফোন ও আইপ্যাডে আনতে পারবে।
এ ছাড়া, ফোর্টনাইট গেইমটিও আরও সহজে ইইউ’র এসব ডিভাইসে ফিরিয়ে আনতে পারবে এপিক গেইমস। চার বছর আগে ‘ইন-অ্যাপ’ কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বে ফোর্টনাইট গেইমটি নিষিদ্ধ করেছিল অ্যাপল। এ সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের মধ্যে বিরাট আইনি ঝামেলা বাধিয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ সাইট এনগ্যাজেট।
“এপিকের সঙ্গে আলাপের পরে, তারা আমাদের ডিএমএ (ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট) নীতিসহ অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করতে রাজি হয়েছে,” – এনগ্যাজেটকে বলেছেন অ্যাপলের মুখপাত্র।
“এর ফলে, এপিক সুইডেন এবি-কে ডেভেলপার চুক্তিতে আবার স্বাক্ষর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ও অ্যাপল ডেভেলপার প্রকল্পে ফেরানো হয়েছে।”
“অ্যাপল আমাদের ও ইউরোপীয় কমিশনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা আমাদের ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেবে,” আপডেট করা এক ব্লগ পোস্টে লিখেছে এপিক।
“এটি নির্মাতাদের পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় যে, ইউরোপীয় কমিশন ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট প্রয়োগ করতে ও গেইটকিপারদের জবাবদিহি করাতে একদমই সময় নষ্ট করবে না। আমরা এপিক গেইমস স্টোর চালু করার ও ফোর্টনাইটকে ইউরোপের আইওএস ডিভাইসে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।”
এ সপ্তাহের শুরুতে এপিকের ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে কারণ হিসাবে অ্যাপল বলেছে যে, এপিক সম্ভবত সংশ্লিষ্ট চুক্তি মেনে চলবে না। পাশাপাশি, কোম্পানির আইনজীবীরা এ গেইম নির্মাতাকে “যাচাইযোগ্যভাবে অবিশ্বস্ত” বলে বর্ণনা করেছিলেন।
সিদ্ধান্তটি “ডিএমএ-এর গুরুতর লঙ্ঘন” বলে দাবি করেছিল এপিক। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া এ আইনের অধীনে, ইইউতে আইওএস অপারেটং সিস্টেমে থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরের অনুমতি দিতে হবে অ্যাপলকে। তবে, যেসব কোম্পানি আইফোনে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর আনতে চায় তাদেরকেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করছে অ্যাপল।
এ ছাড়া, অ্যাপ স্টোরে থার্ড পার্টি সঙ্গীত স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোকে দমন করার কারণে এ সপ্তাহেই অ্যাপলকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার করিমানা করেছে ইইউ। এটি ছিল অ্যাপলকে দেওয়া ইইউ’র প্রথম জরিমানা ও এই ব্লকের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক জরিমানা। এ জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করেছে অ্যাপল।
ডিএমএ আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কোম্পানিগুলোকে আরও কঠিন জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে, যেমন বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নও এতে প্রয়োজনে ক্ষমতা প্রয়োগে প্রস্তুত রয়েছে। তাই এপিকের সঙ্গে এ দ্বন্দ্ব থেকে অ্যাপলের পিছিয়ে আসাটা খুব ‘আশ্চর্যজনক’ কিছু নয় বলে লিখেছে এনগ্যাজেট।
প্রকৃতপক্ষেই, এপিকের সিইও টিম সুইনি বলেছেন, অ্যাপল ‘ইউরোপীয় কমিশনের একটি দ্রুত তদন্তের পরেই’ পিছিয়ে গেছে।