অল্প বয়েসীদের প্ল্যাটফর্মে ধরে রাখতে ব্যবহার করা অ্যালগরিদম, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যেসব বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তা নিরসনে কোম্পানিগুলোকে ব্যার্থ বলে অভিযোগ করে আসছেন সমালোচকরা।
Published : 22 Dec 2023, 04:23 PM
দীর্ঘদিন যাবত ‘বিগ টেক’ নামে পরিচিত বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন ব্যবসায় মোটা অংকের মুনাফা লাভ করতে ব্যবহার করছে শিশুদের ডেটা, সেই চর্চাকে সীমিত করতে নতুন একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি।)
কোম্পানিগুলো কখন এবং কীভাবে শিশুদের ডেটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে, তাতে কড়াকড়ি বাড়াবে মার্কিন সরকার। সেই লক্ষ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিতে ‘অনলাইনে শিশুদের প্রাইভেসি সুরক্ষা আইন’ (সিওপিপিএ) এর সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে এফটিসি।
শিশুদের অনলাইনে ধরে রাখতে কোম্পানিগুলো যেভাবে নোটিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে, তাকেও সীমিত করতে পারে প্রস্তাবিত আইনটি। যেসব কোম্পানি ১৩ বছরের কম বয়স্ক গ্রাহকের ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, সংশোধিত আইনটি প্রভাব ফেলবে তাদের ওপর, বলেছে রয়টার্স।
“শিশুদের অনলাইনে কোম্পানিগুলোর সীমাহীন নজরদারি এবং মুনাফার উদ্দেশ্যে করা ডেটা মজুদের হাত থেকে রেহাই দিয়ে খেলা এবং শেখার সুযোগ দিতে হবে,” একটি বিবৃতিতে বলেন এফটিসি প্রধান লিনা খান। “এখন এমন একটা যুগ যখন অনলাইন মাধ্যমগুলো আমাদের প্রাত্যহিক যাপনের অত্যাবশ্যকীয় অনুসঙ্গ, এই বাস্তবতায় সিওপিপিএ-তে সংশোধন অতি জরুরী।”
ইন্টারনেটের বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট সেবা বিনামূল্যে প্রদান করে বিধায় তারা তাদের ব্যয়নির্বাহের জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করে। কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের রুচি এবং অভ্যাসকে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করতে তাদের ডেটা সংগ্রহ করে।
অল্প বয়সীদের প্ল্যাটফর্মে ধরে রাখতে ব্যবহার করা অ্যালগরিদম তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যেসব বিরূপ প্রভাব ফেলছে, তা নিরসনে কোম্পানিগুলোকে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করে আসছেন সমালোচকরা।
প্রস্তাবিত সংশোধনে বিজ্ঞাপনদাতা এবং অন্যান্য থার্ড পার্টির কাছে শিশুদের বেশিরভাগ তথ্য প্রকাশের বেলায় “মা-বাবার পৃথক প্রমাণযোগ্য অনুমোদন” লাগবে কোম্পানিগুলোর।
ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের অনুমতি না দিলেও শিশুদের কোনো কিছুতে অংশগ্রহণে বাধা দিতে পারবে না কোম্পানিগুলো, এ কথা রয়েছে প্রস্তাবিত সংশোধনটিতে। সেইসঙ্গে শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি সেবা সরবরাহক কোম্পানিগুলোর সংগ্রহে থাকা ডেটার বাণিজ্যিক ব্যবহার রদ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ডিস্ট্রিকগুলো।
বুধবার এফটিসি বলেছে তারা আইনটির ব্যাপারে ৬০ দিন পর্যন্ত মন্তব্য গ্রহণ করবে।