“আমি মনে করি, এই ধরনের ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” --বলেন কুক।
Published : 07 May 2023, 05:05 PM
নিজস্ব পণ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও এই প্রযুক্তিতে এখনও বেশ কিছু সমস্যা দেখছে অ্যাপল। সেগুলো সমাধানে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান টিম কুক।
কুক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘সম্ভাবনা অবশ্যই চমৎকার’। এরইমধ্যে নিজেদের কয়েকটি পণ্যে এর ব্যবহারও শুরু করেছে অ্যাপল। এ ছাড়া, কোম্পানির আসন্ন পণ্যগুলোতেও এর ব্যবহার থাকবে বলে জানান তিনি।
“আমরা এআই’কে বিশাল এক খাত হিসেবে দেখি।” --বৃহস্পতিবার অ্যাপলের আর্থিক আয়ের বিবরণী দেওয়ার আয়োজনে বলেন তিনি। হিসাব বিবরণীতে উঠে এসেছে, আইফোন বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্রীক ব্যবসাও চমৎকার ফলাফল দেখিয়েছে। ফলে, এটি ম্যাক ডিভাইসের বিক্রি কমে যাওয়ার ‘ধাক্কা সামলাতেও’ সাহায্য করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
বিবরণী প্রকাশের পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নিজের ভাবনা ও অ্যাপল একে কীভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে, সে সম্পর্কে কুককে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি বলেন, কোম্পানি ‘পণ্যের রোডম্যাপ’ প্রকাশ না করলেও এই ব্যবস্থা অ্যাপলের মনোযোগের অন্যতম জায়গা।
এরইমধ্যে বিল্ট ইন হিসাবে থাকা ‘ফল ডিটেকশনের’ মতো কোম্পানির নিজস্ব বিভিন্ন পণ্যের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
“আমি মনে করি, এই ধরনের ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” --বলেন তিনি।
“আর এখানে বিভিন্ন জায়গায় যেমন এর ব্যবহার নিয়ে বলা হচ্ছে, তেমনই এমন বেশ কিছু সংখ্যক বিষয় রয়েছে, যেগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন। তবে, এর সম্ভাবনা অবশ্যই চমৎকার।”
বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এরইমধ্যে প্রকাশ্যে নিজেদের এআই কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি চ্যাটবটের মতো বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করেছে।
গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুক’সহ বেশ কিছু কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিভিন্ন নতুন ফিচার নিয়ে কাজ করার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি এরইমধ্যে উন্মোচিত হলেও সেগুলো পুরোপুরি বিকাশের আগে প্রকাশ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
অ্যাপল নিজেদের কিছু সংখ্যক পণ্যে এর ব্যবহার করলেও এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার কতোটা, বা এআই’র বিকাশে কোম্পানির ব্যবসায় কতোটা পরিবর্তন আসতে পারে, সে সম্পর্কে বাস্তবসম্মত কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
চ্যাটজিপিটি’র মতো টেক্সট সিস্টেম ও মিডজার্নি’র মতো ইমেজ ক্রিয়েশন টুলে ক্ষমতা দেওয়া ‘জেনারেটিভ এআই’ভিত্তিক কোনো পণ্য এখনও আনতে পারেনি অ্যাপল। কুককে সুনির্দিষ্ট করে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি নিজের বক্তব্যে এই বিষয়টি উল্লেখ করেননি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এ ছাড়া, অ্যাপলের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘সিরি’র কথাও উল্লেখ করেননি কুক। আর সিরি’র তুলনামূলক কম বিকাশকে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে অ্যাপলের ব্যর্থতার প্রমাণ’ হিসেবে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
গত মাসেই প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদন বলেছে, সিরি’র ‘বিভিন্ন ত্রুটি’ নিয়ে অ্যাপলের কর্মীরা হতাশ। আর সামনের বছর বিভিন্ন নতুন পরিবর্তনের সাহায্যে এই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আশা করছেন তারা।