Published : 23 Aug 2022, 09:36 PM
অনলাইনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পডকাস্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করতে আলাদা একটি পডকাস্ট পেইজ চালু করেছে ইউটিউব, যা টক্কর দিতে পারে স্পটিফাই এবং অ্যাপল পডকাস্টের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ৯টু৫গুগল বলছে, নতুন এই পেইজের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জুলাই মাসের শেষে। তবে, এখনও প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে এটি।
নতুন এই পেইজে প্রবেশ করা যাবে কেবল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বা ইউটিউবের ‘এক্সপ্লোর’ পেইজের মাধ্যমে, যেখানে নতুন একটি ‘পডকাস্ট ট্যাব’ এসেছে।
পেইজটিতে আছে সমসাময়িক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও চ্যানেল, যেগুলোতে এরইমধ্যে ‘এইচ৩ পডকাস্ট’ ও লোগান পলের পডকাস্টের মতো লাখ লাখ নিজস্ব দর্শক রয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী পডকাস্ট প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো গোছানো নয় ইউটিউবের নতুন পডকাস্ট পেইজ। তবে, এই বিষয়টিকে অতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
মে মাসে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কিউমুলাসের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এরইমধ্যে স্পটিফাই এবং অ্যাপল পডকাস্টকে ছাড়িয়ে গেছে ইউটিউব। এই অর্জনের কারণ হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন ভিডিও পডকাস্টের উত্থান ও এটি ব্যবহার করাও সহজ।
দর্শকরা প্ল্যাটফর্মটির গতানুগতিক যে ফরম্যাট ব্যবহার করে অভ্যস্ত, ওই ফরম্যাটেই পেইজটি রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।
পডকাস্ট খাতে প্রবেশ করা প্রথম প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল, যারা নিজেদের পডকাস্ট ব্যবস্থা চালু করেছিল ২০০৫ সালে।
২০১৯ সালে বিভিন্ন স্টুডিও ও প্রযুক্তি অধিগ্রহন এবং জো রোগান ও অ্যালেক্স কুপারের মতো তারকাদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে অনেকটা আগ্রাসীভাবেই নিজস্ব পডকাস্ট ব্যবস্থা চালু করেছিল স্পটিফাই।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবের পডকাস্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে কারণ অনলাইনের বেশিরভাগ কনটেন্টই শেষ পর্যন্ত এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ভেড়ে।
ইউটিবের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে পডকাস্ট এখনও অনেক ছোট একটি অংশ। এর পরও ২০২১ সালে এই খাত থেকে দুই হাজার আটশ ৮০ কোটি ডলার আয় করেছে গুগল।
মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থা ‘ইনটার্যাকটিভ অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর’ তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে মাত্র একশ কোটি ডলার আয় করেছে পুরো পডকাস্ট খাত।
পডকাস্টে নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ভার্জ ইউটিউবের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর মেলেনি।