মামলায় লেখকরা সেইসব মার্কিন নাগরিকের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন, যাদের কপিরাইট করা কাজ গত তিন বছরে নিমো’র লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়েছে।
Published : 11 Mar 2024, 03:01 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে কপিরাইট মামলা করেছেন তিন মার্কিন লেখক। তাদের অভিযোগ, কোম্পানিটি অনুমতি ছাড়াই নিজস্ব এআই প্ল্যাটফর্ম ‘নিমো’কে প্রশিক্ষণ দিতে তাদের কপিরাইট করা বই ব্যবহার করেছে।
মামলাটি দায়ের করা তিন লেখক ব্রায়ান কিন, আবদি নাজেমিয়া ও স্টুয়ার্ট ও’নানের দাবি, তাদের লেখাগুলো প্রায় এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০টি বইয়ের এক ডেটাসেটের অংশ ছিল, যার সহায়তায় নিমো’কে সাধারণ লেখার ভাষা আয়ত্ত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে, এর বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ আসার পর গত বছরের অক্টোবরে সে লেখাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
শুক্রবার স্যান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে প্রস্তাবিত এ ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলার নথিতে লেখকরা বলেন, লেখাগুলো সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ মেলে, এনভিডিয়া যে কপিরাইট লঙ্ঘন করে নিমো’কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তা তারা ‘স্বীকার করে’।
মামলায় লেখকরা সেইসব মার্কিন নাগরিকের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন, যাদের কপিরাইট করা কাজ গত তিন বছরে নিমো’র লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়েছে।
মামলায় যেসব বইয়ের কপিরাইট লঙ্ঘনের তালিকা উল্লেখ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে আছে কিনের ২০০৮ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘গোস্ট ওয়াক’, নাজেমিয়ার ২০১৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘লাইক এ লাভ স্টোরি’ এবং ও’নানের ২০০৭ সালের ছোট উপন্যাস ‘লাস্ট নাইট অ্যাট লবস্টার’।
রোববার এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এনভিডিয়া। এমনকি লেখকদের পক্ষের আইনজীবিদের মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।
ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিতে নিজেদের কপিরাইট করা কনটেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ক্রমাগতই মামলা করে যাচ্ছেন লেখকরা। এবার সে তালিকায় যোগ হল এনভিডিয়ার নাম। আর বাদী’র তালিকায় রয়েছে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস’ও।
এনভিডিয়া নিমো’কে ব্র্যান্ডিং করছে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ‘দ্রুত ও সাশ্রয়ী’ উপায় বলে। আর এআই প্রযুক্তির উত্থানের পর থেকেই এ উদীয়মান খাতের বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ পছন্দ হয়ে উঠেছে এনভিডিয়া।
২০২২ সালের পর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা শহরভিত্তিক চিপ নির্মাতা কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বেড়েছে প্রায় ছয়শ শতাংশ, যার মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে এনভিডিয়া।