নিজস্ব ‘কম্পিউটিং’ দক্ষতা বাড়াতে কোম্পানিটিকে আরও বেশি সিলিকন চিপ কারখানা নির্মাণ করতে হবে। আর, বিষয়টি খরচসাপেক্ষ।
Published : 12 Feb 2024, 05:25 PM
বিশ্বের সবচেয়ে দামী দুই কোম্পানি অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের বাজারমূল্যের যা যোগফল, তার চেয়েও বেশি বিনিয়োগ চেয়েছেন ওপেনএআই সিইও। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিশাল পরিমান অর্থের যোগান দেবে কে? আর কী করবেন তিনি এই অর্থে?
উত্তর- সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নতুন চিপ কারখানা বানাবেন তিনি।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ওপেনএআই-এর আরও ‘কম্পিউটিং’ দক্ষতা প্রয়োজন। এ কাজে কোম্পানিটি এখন নির্ভরশীল মাইক্রোসফটের ওপর।
নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের লক্ষ্যেই এক প্রস্তাবনায় আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সাত লাখ কোটি ডলারের আর্থিক তহবিল চেয়েছেন চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানির সিইও স্যাম অল্টম্যান।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ওপেনএআই-এর আরও ‘কম্পিউটিং’ দক্ষতা প্রয়োজন। এ কাজে কোম্পানিটি এখন মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরশীল।
এর আরেক মানে, নিজস্ব ‘কম্পিউটিং’ দক্ষতা বাড়াতে কোম্পানিটিকে আরও বেশি সিলিকন চিপ কারখানা নির্মাণ করতে হবে। আর, বিষয়টি খরচ সাপেক্ষ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসাবে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআই’সহ বিভিন্ন বিনিয়োগকারী, চিপ প্রস্তুতকারক ও বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানি নিয়ে একটি জোট গঠন করছেন, যারা একসঙ্গে চিপ কারখানা তৈরির জন্য তহবিল যোগার করবেন।
এদিকে, কয়েকটি চিপ নির্মাতা কোম্পানিকে এ নতুন কারখানার গ্রাহক হওয়ার বিষয়ে এরইমধ্যে রাজি করিয়েছে ওপেনএআই।
তবে এ নিয়ে কোম্পানিটির আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সম্পূর্ণ তালিকাও এখনও প্রকাশ পায়নি। প্রচেষ্টাটি কয়েক বছর দীর্ঘ হওয়ার পাশাপাশি এটি শেষ পর্যন্ত সফল নাও হতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে মার্কিন সংবাদ সাইট বিজনেস ইনসাইডার।
এ কথা সত্য যে, সমগ্র বিশ্বে আরও বেশি সংখ্যক সিলিকন চিপ কারখানা প্রয়োজন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ‘চিপস অ্যাক্টস’ নামের একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নতুন আইন অনুসারে, বিভিন্ন কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরির জন্য পাঁচ হাজার দুইশ কোটি ডলারের ভর্তুকি পাবে। তাই অল্টম্যানের এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাটিকে ইতিবাচক হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।
তবে, নতুন চিপ কারখানা তৈরিতে খরচ পড়ে যায় পাঁচ থেকে সাত লাখ কোটি ডলারের বেশি। আর নতুন কোনো কোম্পানির কথা বিবেচনায় নিলে, এ সংখ্যা অনেক বড়। প্রকৃতপক্ষে, গোটা বিশ্বে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানির সংখ্যাও খুব বেশি নয়।
এই পরিমাণ অর্থের কাছাকাছি আরও যা কিছু আছে–
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন: ২৩ লাখ ৩৬ হাজার কোটি ডলার।
২. ২০২২ অর্থবছরে মার্কিন ফেডারেল বাজেট: ছয় লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
৩. ২০২২ সালের হিসাবে আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের খরচ: দুই লাখ ৩১ হাজার কোটি ডলার।
৪. জাপানের জিডিপি বা মোট দেশজ পণ্য: চার লাখ ২৩ হাজার কোটি ডলার।
৫. মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য: তিন লাখ আট হাজার কোটি ডলার।