টটেনহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত আর্সেনালের

আপাতত ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মিকেল আর্তেতার দল।

চেলসি ম্যাচের দারুণ ফর্ম টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষেও টেনে এনে প্রথমার্ধে তিন গোলের লিড নিল আর্সেনাল। তবে বিরতির পর গোলরক্ষকের অমার্জনীয় ভুলে গোল হজমের পর শেষ দিকে তাদের জালে বল গেল আরেকবার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল মিকেল আর্তেতার দল। মজবুত করল লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান।

টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে আর্সেনাল।

পিয়া-এমিল হয়বিয়ার আত্মঘাতী গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান বুকায়ো সাকা ও কাই হাভার্টজ। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের দুটি গোল করেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও সন হিউং-মিন।

৩৫ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৫ ড্রয়ে আর্সেনালের ৮০ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ কম খেলে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।

৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল তিনে, ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা চারে আছে।

৩৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে টটেনহ্যাম।

গত রাউন্ডে চেলসিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্সেনাল।

দুই সপ্তাহ পর ম্যাচ খেলতে নামা টটেনহ্যাম ঘরের মাঠে বল দখলে এগিয়ে ছিল শুরু থেকে। পঞ্চদশ মিনিটে সৌভাগ্যের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কর্নারে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় হেডে নিজেদের জালে বল পাঠান টটেনহ্যামের ডেনিশ মিডফিল্ডার পিয়া-এমিল হয়বিয়া।

২১তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত টটেনহ্যাম। জেমস ম্যাডিসনের ফ্রি-কিকে দুরের পোস্টে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর হেড পোস্টে লাগে। দুই মিনিট পর আরেক ডিফেন্ডার মিকি ফন দে ফেন আর্সেনালের জালে বল পাঠালেও ভিএআরে অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।

দারুণ এক প্রতি-আক্রমণ থেকে ২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্সেনাল। নিজেদের অর্ধ থেকে হাভার্টজের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাকা।

চলতি আসরে সাকার গোল হলো ১৫টি, প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে যা তার সর্বোচ্চ। ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৪ গোল ছিল আগের সেরা।

৩৮তম মিনিটে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-০। ডেকলান রাইসের কর্নারে হেডে গোলটি করেন ছন্দে থাকা হাভার্টজ। চেলসির বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

৫৩তম মিনিটে দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি টটেনহ্যাম গোলরক্ষক। কাছ থেকে সাকার শট পা দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।

৬৪তম মিনিটে গোলরক্ষক দাভিদ রায়ার মারাত্মক ভুলে গোল হজম করে আর্সেনাল। সতীর্থের ব্যাক-পাস বক্সে পেয়ে একটু সামনেই থাকা রোমেরোর গায়ে মারেন তিনি। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি রোমেরো। লক্ষ্যে টটেনহ্যামের প্রথম শট এটি।

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে সফল স্পট কিকে টটেনহ্যাম শিবিরে নতুন আশার সঞ্চার করেন সন। বেন ডেভিসকে আর্সেনালের রাইস বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

বাকি সময়ে অবশ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি স্বাগতিকরা। তিন পয়েন্ট পাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।