ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে ফিরলেন স্যাম অল্টম্যান

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ নিয়ে তদন্ত করেছে ওপেনএআই। তদন্তকারীরা নিজেদের কাজ শেষ করেছেন। এর প্রেক্ষিতেই অল্টম্যানকে কোম্পানির পর্ষদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2024, 09:07 AM
Updated : 9 March 2024, 09:07 AM

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে কোম্পানির নির্বাহী প্রধান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে।

গত বছরের নভেম্বরে ওপেনএআই থেকে হঠাৎ করেই স্যাম অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছু দিন পরই বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে ওপেরএআই, যেখানে কোম্পানির বেশিরভাগ কর্মীই সে সময় অল্টম্যানের পাশে দাঁড়ান ও তাকে না ফেরালে কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়ে বসেন।

ওই ঘটনার পাঁচ দিন পরই কোম্পানির সিইও হিসাবে প্রত্যাবর্তন ঘটে অল্টম্যানের। এমনকি পর্ষদের যে সদস্যরা অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তারা সকলেই কোম্পানিটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।

সে সময় ওপেনএআই বলেছিল, এই পাঁচ দিনে কী ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখবে কোম্পানিটি।

গেল শুক্রবার কোম্পানিটি এক ব্লগ পোস্টে ঘোষণা দেয়, যে তৃতীয় পক্ষ এ বিষয়টি তদন্ত করেছে, তারা নিজেদের কাজ শেষ করেছেন। এর প্রেক্ষিতেই অল্টম্যানকে কোম্পানির পর্ষদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, অল্টম্যানকে কোম্পানির সিইও ও গ্রেগ ব্রকম্যানকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাখার ব্যাপারে ‘পুরো আস্থা প্রকাশ করেছে’ ওপেনএআইয়ের বোর্ড।

পোস্টে আরও উল্লেখ ছিল, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে তিনজন নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন, ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’-এর সাবেক সিইও ড. সু ডেসমন্ড-হেলম্যান, সনি’র প্রাক্তন ‘ইভিপি’ ও ‘জেনারেল কাউন্সেল’ নিকোল সেলিগম্যান এবং মার্কিন ডেলিভারি কোম্পানি ‘ইনস্টাকার্ট’-এর বর্তমান সিইও ফিডজি সিমো।

ওপেনএআই বলেছে, কোম্পানিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু নতুন সুযোগ-সুবিধা যোগ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স’ সংশ্লিষ্ট নতুন নির্দেশিকা, একটি গোপন বা বেনামী হুইসেলব্লোয়ার হটলাইন’সহ অনেক কিছুই।

এদিকে, নভেম্বরে অল্টম্যানের ছাঁটাই নিয়ে তদন্তের বিষয়ে ওপেনএআই বলেছে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে এতে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ‘উইলমারহেল’।

এজন্য তারা কোম্পানির পর্ষদের সাবেক সদস্য ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ৩০ হাজার নথি খতিয়ে দেখেছেন ও ‘বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারও’ নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট নিওউইন।

তদন্ত শেষে ‘উইলমারহেল’ বলেছে, বোর্ডের সাবেক সদস্য ও অল্টম্যানের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হওয়ায় এমনটি ঘটেছে।

সংস্থাটি আরও যোগ করে, পর্ষদের সাবেক সদস্যরা অল্টম্যানকে বরখাস্ত করতে ‘বিস্তৃত পরিসরে কাজ করলেও অল্টম্যানকে অপসারণ করা তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল না’।