যুক্তরাষ্ট্রকে শিকার বানানো বিভিন্ন ক্রমবর্ধমান হ্যাকিং প্রচেষ্টা ও ডিজিটাল অপরাধের বিপরীতে, নিজেদের সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে নতুন সাইবার নিরাপত্তা কৌশলের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
কৌশলটি তৈরি হয়েছে দেশটির ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য নীতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা হিসাবে। আর এতে বিভিন্ন শিল্পে প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারী খাতের মধ্যে উন্নত সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
স্থানীয় ও বৈদেশিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনার পর ও ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক আগ্রাসন চলাকালীন এই সিদ্ধান্ত এল বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে, যেখানে সাইবার যুদ্ধ বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এই কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে নাম উঠে এসেছে চীন ও রাশিয়ার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, নতুন এই পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো রাশিয়ার হ্যাকারদের লাগাম টেনে ধরা।
“সাইবার অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে কাজ করছে রাশিয়া। আর মুক্তিপণ এমন এক সমস্যা, যা আমরা প্রতিদিনই মোকাবেলা করতে হয়।” --বলেন তিনি।
বিভিন্ন সাইবার অপরাধী দল লক্ষ্যবস্তু বানানো সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা র্যানসমওয়্যার আক্রমণগুলো সবচেয়ে সাধারণ সাইবার আক্রমণের ধরন। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন শিল্পে বিস্তৃত উপায়ে প্রভাব ফেলেছে এটি।
“ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এককভাবে এর সমাধান করতে পারবে না - আমাদের উচিৎ জাতীয় ক্ষমতার অন্যান্য উপাদানগুলোর দিকে নজর দেওয়া।” --যোগ করেন তিনি।
“তাই আমরা আশাবাদী যে সাইবার স্পেসের ক্ষতিকারক কার্যক্রম সম্পর্কে রাশিয়া বুঝতে পারবে ও ভবিষ্যতে এটি নিয়ে সংযত থাকবে।”
কৌশলটি বিভিন্ন বিদেশী অংশীদারের সঙ্গে জোট গঠনের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ‘রাশিয়া ও অন্যান্যদের নিজস্ব আচরণ পরিবর্তনের জন্য চাপ দেবে।’ -- বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা।
“আমি মনে করি, গত বছরে আমরা এই ধরনের জোট গঠনের কিছুটা সুফল পেয়েছি।” --যোগ করেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নতুন এই কৌশল বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমের প্যাচিং দুর্বলতার মান উন্নয়নের পাশাপাশি একটি নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে। তবে, এর জন্য বিভিন্ন ক্লাউড কোম্পানিকে বিদেশী গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করতে হবে।