“আমরা জনের কণ্ঠ আলাদা করে সেটার বিশুদ্ধ রূপ পেতে এআই ব্যবহার করেছি। এরপরের কাজটি হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতিতে সেই কণ্ঠ রেকর্ডে মিক্স করা।”
Published : 14 Jun 2023, 02:32 PM
পুরোনো রেকর্ড ঘেঁটে বের করা হয়েছে জন লেননের গাওয়া গান। কিংবদন্তী এই বিটলের কণ্ঠ আলাদা করা হয়েছে রেকর্ডে থাকা অন্য সব আওয়াজ থেকে। সেই কণ্ঠ এরপর ব্যবহার করা হয়েছে প্রকাশিতব্য নতুন গানে।
আর এই পুরো কাজটি সম্ভব হয়েছে এআইয়ের কারণে।
বিবিসি’র টুডে অনুষ্ঠানে সেই গল্পই করছিলেন আরেক কিংবদন্তী বিটল পল ম্যকার্টনি।
এই গোটা প্রকল্পে তার অভিজ্ঞতা এবং এআই নিয়ে জিজ্ঞেস করলে পল বলেন, “ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং!”
“আমরা সবাই হতভম্ভ হয়ে বোঝার চেষ্টা করছি আসলে হচ্ছেটা কি!”
এর আগে বিটলস ব্যান্ডের আর্কাইভ ফুটেজকে পরিমার্জন করে ‘দ্যা বিটলস: গেট ব্যাক’ শিরোনামে আট ঘণ্টার রঙিন প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছিলেন লর্ড অফ দ্যা রিংস-খ্যাত পরিচালক পিটার জ্যাকসন। ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ওই প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ম্যাকার্টনির ভাষায় “ক্যাসেটের পুরনো প্যাঁচানো ফিতা” থেকে লেননের কণ্ঠস্বর আলাদা করেছিলেন তিনি।
পল ম্যাকার্টনি বললেন, এবার বাদ্যযন্ত্র ও অন্যান্য আওয়াজ থেকে লেননের কণ্ঠস্বর আলাদা করতে পেরেছে এআই।
“কাজেই আমরা যখন কাজে বসলাম, যেটা আসলে বিটলসের সর্বশেষ রেকর্ড হতে যাচ্ছে, সেটা আসলে আমাদের ওই ডেমো যেটা জনের কাছে ছিল।”
“কাজ মাত্রই শেষ হয়েছে আর এ বছরই মুক্তি পাবে।” - বললেন ম্যাকার্টনি।
“আমরা জনের কণ্ঠ আলাদা করে সেটার বিশুদ্ধ রূপ পেতে এআই ব্যবহার করেছি। এরপরের কাজটি হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতিতে সেই কণ্ঠ রেকর্ডে মিক্স করা।”
বিবিসি বলছে, গানটি সম্ভবত লেননের ১৯৭৮ সালের গান ‘নাও অ্যান্ড দেন’। এই গানটির কাজ ম্যাকার্টনি শেষ করার কথা আগেও বলেছিলেন।
১৯৮০ সালে জন লেননকে হত্যা করা হয়।
সাম্প্রতিক সফরে পল ম্যাকার্টনি পারফর্ম করেন গ্লাস্টনবারি ফেস্টিভালের হেডলাইন স্লটে। সেখানে জন লেননের পুনরুদ্ধার করা একটি ভয়েস ট্র্যাকের সঙ্গে গান গেয়েছেন তিনি। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন ছিল পুরনো ভিডিও ফুটেজ - পর্দায় দুই কিশোর বন্ধু জন আর পল।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআই ব্যবহার করে প্রয়াত শিল্পীদের গান নতুন করে তৈরি এবং এ বিষয়ে নৈতিকতা নিয়ে কথা বলছেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট বোদ্ধারা।
সুইডিশ ব্যান্ড অ্যাবা’র বিয়র্ন উলভিয়াস ‘অ্যাবা ভয়াজ’ নামের শো-তে ব্যবহার করেছিলেন মোশন ক্যাপচার এবং অ্যাডভান্সড রিয়েল টাইম গ্রাফিক্স প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে পারফর্ম করার সময় ব্যান্ড সদস্যদের অল্প বয়সী অ্যাভাটার হিসাবে মঞ্চে তুলেছেন তিনি। তবে, বিয়র্ন উলভিয়াস সিনবিসি’র সঙ্গে আলাপে “ডিপ ফেইক” নিয়ে তার ভয়ের কথাও জানান।
আর এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আলাপে পল ম্যাকার্টনি উপসংহার টানলেন এভাবে – “এর ভালো দিক যেমন আছে, ভয়াবহ দিকও আছে। আমাদের এখন দেখতে হবে আমরা কোন দিকে যাই।”