এই সময়ের গেইমারদের কাছে সাউন্ডট্র্যাকটি পরিচিত না হলেও গানটির বয়স তিন দশকের বেশি।
Published : 08 Dec 2023, 03:33 PM
গেইম ভক্তদের মধ্যে এরইমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে জিটিএ ৬ গেইমের নতুন ট্রেইলার। সেখানে ব্যবহৃত গানটি নিয়েও বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে বিভিন্ন অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।
নির্মাতা রকস্টার গেইমসের ইউটিউব চ্যানেলে ট্রেইলারটি এরইমধ্যে ১২ কোটি ভিউয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আর অডিও স্ট্রিমিং সেবা স্পটিফাই বিবিসিকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার গেইমটির ট্রেইলার প্রকাশ পাওয়ার পর তাদের প্ল্যাটফর্মে গানটির চাহিদা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার শতাংশ।
এই সময়ের গেইমারদের কাছে সাউন্ডট্র্যাকটি পরিচিত না হলেও গানটির বয়স তিন দশকের বেশি। ১৯৮০ এর দশকে প্রকাশিত ‘লাভ ইজ আ লং রোড’ শিরোনামের এ গানের স্রষ্টা মার্কিন গীতিকার টম পেটি।
২০১৭ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান টম পেটি। ২০০২ সালে ‘রক হল অব ফেইমে’ জায়গা পাওয়া পেটির জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমেরিকান গার্ল’ ও ‘ডোন্ট ডু মি লাইক দ্যাট’, যা নিজের ব্যান্ড হার্টব্রেকার্সের সঙ্গে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘গ্র্যান্ড থেফট অটো: স্যান অ্যান্ড্রিয়েস’ গেইমের প্লেলিস্টেও পেটির ‘রানিং ডাউন এ ড্রিম’ গানটি শোনা গেছে।
‘লাভ ইজ এ লং রোড’ গানটি প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৮৯ সালে, পেটি’র প্রথম একক অ্যালবাম ‘ফ্রি ফলিং’-এ।
সে বছর মার্কিন বিলবোর্ড চার্টে সাত নম্বরে অবস্থান করেছিল গানটি। আর সংগীত বিষয়ক সাইট রোলিং স্টোনে তার সেরা ৫০টি গানের তালিকায় এর অবস্থান ছিল ৩৮-এ।
গানটি এখন পর্যন্ত স্পটিফাইয়ে এক কোটি ১০ লাখের বেশিবার স্ট্রিম করা হয়েছে। তবে সেবাটিতে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘ফ্রি ফলিং’-এর তুলনায় সংখ্যাটি নেহাতই কম। ‘ফ্রি ফলিং’ শ্রোতারা শুনেছেন ৬০ কোটির বেশিবার।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ পেটি’র অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, নতুন গেইমে তার গান ব্যবহার করার বিষয়টি ‘সম্মানের’।
“স্যান অ্যান্ড্রিয়েস গেইমে ‘রানিং ডাউন এ ড্রিম’ গানটি দিতে পেরে খুশি হয়েছিলেন টম। তাই, জিটিএ ৬ গেইমে ‘লাভ ইজ এ লং রোড’ গানটি ব্যবহার করা তার জন্য সত্যিই সম্মানের বিষয়।”
স্পটিফাই বলছে, তাদের সেবায় গান পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। তবে এমন মাত্রায় কখনো দেখা যায়নি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জনপ্রিয় রোল প্লেইং গেইম ‘লাস্ট অব আস’-এর টিভি সিরিজ সংস্করণে মার্কিন গায়িকা লিন্ডা রন্ডস্টাডের ‘লং লং টাইম’ গানটি ব্যবহার করার পর বিভিন্ন স্ট্রিমিং সাইটে এর চাহিদা বেড়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার শতাংশ।
স্পটিফাইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, তাদের সেবায় জিটিএ ৬ এরর প্রভাব কেবল পেটির গানেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই সপ্তাহ আগে রকস্টারের গেইমে ব্যবহৃত গানগুলোর প্লেলিস্ট তৈরি করার পর এখন পর্যন্ত এতে লাইক পড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ।
জিটিএ ৬ গেইমটি বাজারে আসবে ২০২৫ সালে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ভাইস সিটি’ (জিটিএ সিরিজের চতুর্থ সংস্করণ, যা গেইমের অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল) সেটিংও। গেইমের গল্প সাজানো হয়েছে ষাটের দশকের কুখ্যাত মার্কিন অপরাধী যুগল বনি ও ক্লাইডের কাহিনীর প্রেক্ষাপটে। পাশাপাশি এ সিরিজে প্রথমবারের মত মূল চরিত্রে দেখা যাবে এক নারীকে।
এ গেইম সিরিজটির নতুন সংস্করণ তৈরি করতে সময় লেগেছে ১০ বছর। এর আগের সংস্করণ জিটিএ ৫ সর্বাধিক বিক্রি হওয়া গেইমের তালিকায় অবস্থান করছে দ্বিতীয় স্থানে; প্রথম স্থানে রয়েছে আরেক জনপ্রিয় গেইম মাইনক্রাফট।
আরও খবর: