Published : 18 Aug 2024, 12:32 PM
চার বছর অপেক্ষার পর ইইউ অঞ্চলের আইফোনে ফিরছে জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেয়ার শুটার গেইম ফোর্টনাইট।
ইইউ’র বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছে গেইমের নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেইমস।
২০১৭ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ফোর্টনাইট গেইমটি। এটি যুক্তরাষ্টভিত্তিক স্টুডিও এপিক-এর তৈরি। পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম গেইম স্টুডিও চীনের টেনসেন্ট-এর সমর্থনও আছে এতে। প্রকাশের পরপরই, গেইমের ‘লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং’ ও ‘ব্যাটল রয়্যাল’ ফরম্যাটগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং লাখ লাখ গেইম খেলোয়াড়কে আকর্ষণ করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
অ্যাপস্টোরগুলোয় কোনো অ্যাপ বা গেইম নির্মাতার যে কোনো আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অ্যাপল ও গুগল কমিশন কেটে রাখে। এপিক সে কমিশন এড়ানোর লক্ষ্যে অ্যাপস্টোরের বাইরে ইনঅ্যাপ কেনাকাটার সুবিধা তৈরি করেছিল। এরই ফলে, ২০২০ সালের অগাস্টে অ্যাপস্টোরের নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে অ্যাপল ও গুগল তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে ফোর্টনাইট সরিয়ে ফেলে।
এর পরপরই কোম্পানি দুটির ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশনকে বাড়াবাড়ি উল্লেখ করে একাধিক মামলা করে এপিক গেইমস।
অ্যাপস্টোরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময়, শুধু অ্যাপলের প্ল্যাটফর্মেই এপিকের ১১ কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
ইইউ’র ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ) আইনের ফলে ইউরোপে নিজেদের গেইম স্টোর চালুর অনুমতি পাচ্ছে এপিক। তবে, অ্যাপল এখনও ইউরোপের বাইরের ব্যবহারকারীদের ফোর্টনাইট ও এর গেইমস্টোর ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
“আমরা ইইউ’র কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। শুধু ডিএমএ আইন পাশ বা অ্যাপস্টোর প্রতিযোগিতা তৈরির জন্যই নয়, বরং অ্যাপল ও গুগলের মতো জায়ান্ট কোম্পানিকে শক্তভাবে বেঁধে রাখার জন্য, যা নিশ্চিত করেছে তারা সুষ্ঠ প্রতিযোগিতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে না।” – বলেছেন এপিক গেইমস-এর সিইও টিম সুইনি।
“আমাদের বাধা দিতে তারা অনেকদূর পর্যন্ত গেছে। বেশ কয়েকবার আমাদের থামানোর চেষ্টা করেছে। তবে, ইউরোপীয় কমিশন সবসময় পধক্ষেপ নিয়ে নিশ্চিত করেছে বাজারে যেন প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।”
‘ফোর্টনাইট’, ‘রকেট লিগ সাইডওয়াইপ’ ও মোবাইলের জন্য নতুন ‘ফল গাইস’, এ তিনটি গেইম নিয়ে চালু হচ্ছে এপিকের স্টোর। পাশাপাশি, এ স্টোরের মাধ্যমে বিভিন্ন গেইম ও অ্যাপ প্রকাশের জন্য অন্যান্য নির্মাতার সঙ্গেও কাজ করছে কোম্পানিটি।
এ ছাড়া, গেইমগুলো অন্যান্য মোবাইল স্টোর থেকেও পাওয়া যাবে। তবে, আইওএস ডিভাইসে ১৫ ধাপের ইনস্টলেশন পদ্ধতি, ডিভাইসের বিভ্রান্তিকর সেটিংস ও সতর্কতা, সেটআপ প্রক্রিয়াটি জটিল করছে বলে দাবি এপিকের।
পিসি স্টোরে সাত কোটি ৫০ হাজার সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারী রয়েছে ফোর্টনাইট নির্মাতার। আর বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি নতুন মোবাইল ব্যবহারকারী যুক্ত করার চেষ্টা করছে তারা।
অ্যাপল বলছে, ইইউ’তে গেইম নির্মাতাদের বিভিন্ন নতুন সুযোগ দিতে, ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রক্রিয়াটি যতটা সম্ভব সহজ করতে কাজ করছে তারা।
“আমরা সম্ভবত চার বছর ধরে বিশ্বব্যাপী আইওএস গ্রাহক হারিয়ে একশ কোটি ডলারেরও বেশি রাজস্ব হারিয়েছি, তবে স্বাধীনতা কি এই মূল্য দিয়ে মাপা যায়?” – বলেছেন সুইনি।