ডাইসনের তৈরি প্রথম তারবিহীন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার এটি, যা একইসঙ্গে ভেজা ও শুষ্ক অবস্থায় কাজ করতে পারে।
Published : 28 Feb 2024, 12:40 PM
নতুন এক ধরনের ‘ভেজা’ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বাজারে এনেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ‘ডাইসন। এর কাজ হল ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করার পাশাপাশি মেঝেও ধুয়ে দেওয়া।
নতুন এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি অনেকটা মপের মতো কাজ করে, যার মাধ্যমে মেঝেতে পানি ফেলে পরবর্তীতে সে জায়গাটি পরিষ্কার করে পানি আবার তুলে নেওয়া যায়। সম্ভবত, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি পানির পাশাপাশি মেঝে থেকে ছোটখাট ময়লাও তুলে নিতে পারবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
ডাইসনের তৈরি প্রথম তারহীন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার এটি, যা একইসঙ্গে ভেজা ও শুষ্ক অবস্থায় কাজ করতে পারে। তবে ভ্যাকুয়ামের মোছার অংশটিকে ডাকা হচ্ছে ‘সাবমেরিন’ নামে, যা আসলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের একটি পৃথক মাথা, যেটি সাধারণত ডাইসন ইউনিটের সঙ্গেই লাগানো থাকে।
একইভাবে, এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটির মোছার অংশ অর্থাৎ ‘সাবমেরিন’ ব্যবহারের সময় এর ময়লা টেনে নেওয়ার মোটরটি বন্ধ থাকে, পানিও স্প্রে করে না। এর বদলে ওই শক্তি ব্যবহার করে এর মপ বা মোছার অংশটি।
এর আরেকটি মানে দাঁড়ায়, এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি ব্যবহারকারীর চুল, ধুলাবালি ও অন্যান্য ময়লা তুলতে প্রথমে ঘরের মেঝেতে ঘোরাফেরা করে, বিশেষ করে যখন ঘরের মেঝে ধোয়ার আগে তা পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি।
কোম্পানিটির দাবি, ক্লিনারের সাবমেরিনটি ঘরের মেঝেকে অনেক বেশি পানি দিয়ে না ভিজিয়ে মেঝেতে সঠিক পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে পারে, যেখানে ভ্যাকুয়ামটি প্রথমে ঘরের মেঝেতে জেট দেওয়া পানি ছড়িয়ে দেয় ও পরবর্তীতে তা রোলারের মাধ্যমে পরিষ্কার করে। এরপর রোলারটি পানি রাখার চেম্বারে নোংরা পানি ফেলে, যেটি ভরে গেলে খালি করে নেওয়া যায়।
নতুন ভ্যাকুয়ামটি কোম্পানির অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির আদলেই তৈরি হয়েছে। এর একটি হল ‘ডিটেক্ট’ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে ভ্যাকুয়ামের মাথার অংশে একটি লেজার যুক্ত থাকে, যেটি আলোকিত করে দেখায়, ঘরের মেঝে কতটা নোংরা।
এদিকে, গত বছর নিজেদের নতুন রোবট ভ্যাকুয়াম, এয়ার ক্লিনিং ও অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেও এ সাবমেরিন প্রযুক্তি চালু করেছে কোম্পানিটি, যা পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বাজারে। আর এখন যুক্তরাজ্যের বাজারেও আসবে এটি।
৬ মার্চ থেকে কোম্পানিটির ওয়েবসাইট’সহ অন্যান্য জায়গা থেকে ‘ডাইসন ভি১৫ ডিটেক্ট সাবমেরিন’ নামের এ ভ্যাকুয়ামটি কেনা যাবে। এর মূল্য ৯৯.৯৯ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার টাকা।