যুক্তরাজ্যের পুলিশ গাঁজার চাষাবাদ হচ্ছে সন্দেহে তল্লাশি চালিয়ে আবিষ্কার করলেন অবৈধ এক বিটকয়েন মাইন।
Published : 31 May 2021, 12:51 AM
বার্মিংহাম শহরের উপকণ্ঠে এক শিল্প এলাকায় এই বিটকয়েন খনি হাজার হাজার পাউন্ডের বিদ্যুৎ চুরি করছিলো বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ।
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ১৮ মে ওই আস্তানায় অভিযান চালায়। তাদের বিশ্বাস ছিল ওখানে গাঁজা চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন সময়ে লোকজন ওখানে ঢুকতো আর বেরুতো, যা পুলিশের চোখে সন্দেহজনক ছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
“পুলিশের ড্রোন থেকেও তথ্য মিলেছে যে, ওখানে অনেক তাপ তৈরি হচ্ছে।”
“আর এগুলোর সবই গাঁজা চাষের একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ।” অবশ্য পুলিশ সেখানে ঢুকে কোনো গাঁজা পায়নি। তাব বদলে মিলেছে শ’ খানেক কম্পিউটার।
“এই বিষয়টি আমাদের ধারণাতেই ছিল না।” - বলেন স্যান্ডওয়েল পুলিশ সার্জেন্ট জেনিফার গ্রিফিন। “এখানে গাঁজা চাষের সমস্ত লক্ষণ ছিল। আমার ধারণা, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে এটা এই ধরনের এটা দ্বিতীয় ক্রিপ্টো মাইন।”
বিটকয়েন মাইনররা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করেন যেগুলো বিশেষ ধরনের জটিল সমীরকণ সমাধান করে। ওই সমীকরণের মাধ্যমেই বিটকয়েনের লেনদেনের খতিয়ান আপডেট হতে থাকে। আর এর পরিশ্রমিক হিসেবে মাইনররা বিটকয়েন পেয়ে থাকেন।
এইসব উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার চালাতে বিদ্যুতের চাহিদাও বেশি থাকে। ফলে বিটকয়েনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট তুলনা করা চলে নিউ জিল্যান্ডের কার্বন ফুটপ্রিন্টের সঙ্গে। ডিজিকনমিস্টের তথ্যানুসারে, বিটকয়েনের জন্য বছরে কার্বন উৎপাদন হয় প্রায় ৩৭ মেগাটন।
“আমি যেটুকু বুঝছি, বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজটি অবৈধ নয়, কিন্তু মেইন লাইন থেকে চুরি করে বিদ্যুত ব্যবহার অবৈধ।” - বলছিলেন সার্জেন্ট গ্রিফিন।
ওই স্থাপনার কম্পিউটারগুলো জব্দ করা হয়েছে, তবে এতে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।