মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে “গভীর এবং অগণতান্ত্রিক অনধিকারপ্রবেশে”র কারণে ইউরোপে ফেইশল রিকগনিশন নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ। সম্প্রতি এরকম মতামতই জানালো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নজরদারী সংস্থা সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন সুপারভাইজর’ (ইডিপিএস)।
Published : 24 Apr 2021, 03:33 PM
এ মন্তব্য জানানোর দুই দিন আগেই ফেইশল রিকগনিশন প্রশ্নে খসড়া নিয়মের প্রস্তাব রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রস্তাবিত ওই নিয়মের অধীনে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও উগ্রবাদী আক্রমণের বেলায় অপরাধী খুঁজতে ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টভুক্ত দেশগুলো এই নিয়ম নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছ নিয়মটির একটি খসড়া করে সেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নে বৈশ্বিক নিয়ম বা মান হিসেবে দাঁড় করানো। আর এমন একটি প্রযুক্তি নিয়ে এই আলোচনা শুরু হচ্ছে যেখানে ইউরোপ নয়, আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
গোপনতা বিষয়ক সংস্থাটি প্রকাশ্যেই বলছে, 'পাবলিক প্লেস' বা জনসমাগমের স্থান থেকে ফেইশল রিকগনিশন নিষিদ্ধের আহবানে কমিশনের সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের হতাশ করেছে।
“দূর থেকে বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ যেখানে এআই নজিরবিহীন উন্নয়ন সাধন করতে পারবে সেখানে আরও কঠোর একটি পন্থা প্রয়োজন, মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের বেলায় এটি অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির গভীর এবং অগণতান্ত্রিক অনধিকারপ্রবেশের পথ তৈরি করছে।” – এক বিবৃতিতে বলছে সংস্থাটি।
“ইডিপিএস ওই টুলের এবং যে সিস্টেমগুলো ডেটা সুরক্ষা ও গোপনতার মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করবে, সেগুলোর সুনির্দিষ্ট সীমারেখার সেটিংসে মনোনিবেশ করবে।” – বলছে সংস্থাটি।
খসড়া আইনের প্রস্তাবনা নিয়ে ভোক্তা অধিকার দলের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ভোক্তা অধিকার দলগুলো বিভিন্ন আইনের ফাঁক নিয়ে চিন্তিত যা ব্যবহার করে হয়তো এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের অধিকার খর্ব করতে পারে সরকার।