ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিম বার্নার্স-লি মনে করেন, ইন্টারনেট জায়ান্টদের আধিপত্য অর্জনের চেষ্টা ‘উন্মত্ততা মাত্র’, এটি কেটে যাবে। তরুণদের অনলাইন প্রবেশাধিকারের ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ উন্নয়নে জরুরি পরিবর্তন প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Published : 12 Mar 2021, 02:27 PM
বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট ন্যাভিগেশন সিস্টেম ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ উদ্ভাবন করেন। সে সময় এ উদ্ভাবক জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে “অস্থিরতার একটি অনুভূতি রয়েছে, সবকিছু উল্টে দিয়ে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার একটি অনুভূতি” কাজ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিতণ্ডতায় জড়িয়েছিল ফেইসবুক ও অস্ট্রেলিয়া। ফলাফল হিসেবে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি অস্ট্রেলিয়ায় নিজেদের নিউজ ফিড ব্লক করে দিয়েছিল। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ঘটনাটি নতুন করে ভাবিয়েছে বহু দেশের নাগরিক ও সরকারকে। আদতেও ইন্টারনেট জায়ান্ট ও সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কটি পুনঃযাচাই করেছেন তারা।
“আমি আশাবাদী, কারণ এর আগেও আমরা ইন্টারনেট আধিপত্য বিস্তারী উন্মত্ততা দেখেছি – এবং তারপর হয়েছে পরিবর্তন। বর্তমানে অনেক বড় মাপে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ছে যে পরিবর্তন প্রয়োজন।” – বলেছেন ওয়েবের জনক।
তার মতে, সরকারি নীতি ও প্রযুক্তি একত্রে কাজ করতে পারে, এবং মানুষকে আবারও নিজ ডেটা ও অনলাইন জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দিতে পারে।
বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সী বার্নার্স-লি সলিড নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। ওই প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহারকারী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন। ব্যবহারকারীকে ফেইসবুকের মতো ডেটা হারাতে হয় না সলিডে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ৩২তম জন্মদিনে এক চিঠিতে ‘ডিজিটাল ডিভাইডের’ ব্যাপারে সতর্ক করেন বার্নার্স-লি। এখনও বিশ্বে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের হাতে ইন্টারনেটের কোনো প্রবেশাধিকার নেই।
বার্নার্স-লি’র মতে, “ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা - অনেকটা গত শতকে বিদ্যুতকে যেমনটা মনে করা হতো, গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন ওয়েব প্রবেশাধিকার বদলে দিচ্ছে বিশ্বকে।”
“একমাত্র সুস্থ্য চিন্তা হলো – সকিছুই সামনে এগোবে এবং এগোতে থাকবে। আমরা গতির আরেকটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যাতে বিশ্বও বদলে যাচ্ছে।” – বলেছেন বার্নার্স-লি।